তেল অপসারণে রাসায়নিক ছিটানো স্থগিত

সুন্দরবনে ডুবে যাওয়া ট্যাঙ্কার থেকে নিঃসৃত তেল অপসারণে রাসায়নিক পদার্থ ছিটানো স্থগিত রেখেছে কান্ডারি-১০। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ১০ হাজার লিটার অয়েল স্পিলড ডিসপারসেন্ট নামের ওই রাসায়নিক পদার্থ নিয়ে কান্ডারি-১০ নামের টাগবোটটি শ্যালা নদীতে পেঁৗছায়। এরপর বিকেল থেকে এক দফা ওই টাগবোটটি থেকে রাসায়নিক ছিটানো শুরু হয়। কিন্তু সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যে বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কায় বন বিভাগের আপত্তিতে তা স্থগিত করা হয়। বর্তমানে কান্ডারি চাক্তাই রেঞ্জের কাছে নোঙর করে আছে।
আজ শুক্রবার বেলা আড়াইটায় টাগবোটে অবস্থানরত পরিবেশ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক মল্লিক আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে জানান, এই অয়েল স্পিলড ডিসপারসেন্ট কোন দেশ থেকে আমদানি করা, এটি তৈরি ও মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার তারিখ, এর আমদানি কোড এবং রাসায়নিক নাম ঢাকার পরিবেশ অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় পরীক্ষাগারের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। সেখান থেকে ইতিবাচক সাড়া পেলেই এটি ছিটানো শুরু হবে।
টাগবোটের ভেতরেই খুলনা পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে আসা একজন কেমিস্ট রাসায়নিকটি পরীক্ষা করছেন জানিয়ে মল্লিক আনোয়ার আরও জানান, এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফলাফল ইতিবাচক হলে এক দিনেই কাজটি সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।
কোন কোন রুটে এই রাসায়নিকটি ছিটানো হবে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে চ্যানেলে জাহাজডুবির ঘটনা ঘটেছে সেই চ্যানেলেই রাসায়নিকটি ছিটানো হবে। তিনি আরও বলেন, ছড়িয়ে পড়া তেল সংগ্রহের জন্য আজ সকাল থেকেই জেলে ও গ্রামবাসী কাজ করছে। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানির লোকজন ওই সংগৃহীত তেল কিনে নিচ্ছেন।
মংলা বন্দর কতৃ‌র্পক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর হাবিবুর রহমান ভূইয়া প্রথম আলোকে জানান, আগের দিনের ঘোষণা অনুযায়ী আজ সকাল থেকেই স্থানীয় প্রশাসন ও বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে তেল সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে।
যদিও গত মঙ্গলবার ভোরে জাহাজডুবির পর থেকেই নদী তীরবর্তী গ্রামবাসীকে নিজ উদ্যোগেই তেল অপসারণের কাজ করতে দেখা গেছে।

No comments

Powered by Blogger.