কৃষিঋণে ২% সুদ কমালো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

কৃষি খাতে ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা ঋণে বর্তমানে নির্ধারিত হারের তুলনায় ২ শতাংশ সুদ কমিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী বছরের প্রথম দিন থেকে কৃষকরা সর্বোচ্চ ১১ শতাংশ সুদে কৃষিঋণ নিতে পারবেন। বর্তমানে সুদ গুনতে হয় ১৩ শতাংশ। গতকাল এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আমানত ও ঋণের সুদ হারের নিম্নমুখী প্রবণতা বিবেচনায় অগ্রাধিকার খাত হিসেবে কৃষি ও পল্লী ঋণের সুদ হারের ঊর্ধ্বসীমা ১৩ শতাংশের পরিবর্তে ১১ শতাংশ নির্ধারণ করা হলো। আগামী ১লা জানুয়ারি থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে। সংশ্লিষ্টরা জানান, বাজার চাহিদা বিবেচনায় বেশ কিছু দিন ধরে ঋণ ও আমানতের সুদহার কমে আসছে। এমন প্রেক্ষাপটে কৃষি খাতে সুদ হারের ঊর্ধ্বসীমা কমানো হয়েছে। এতে করে কৃষকরা বর্তমানের তুলনায় বেশি উপকৃত হবেন। আর্থিক খাত সংস্কার কর্মসূচির আওতায় ১৯৮৯ সালের পর থেকে ব্যাংকগুলো নিজেরাই সুদহার নির্ধারণ করতে পারে। তবে বৈশ্বিক মন্দা পরবর্তীতে উৎপাদনশীল খাতে ঋণ বাড়ানোর লক্ষ্যে কৃষি, মেয়াদি শিল্প, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি, রপ্তানিমুখী শিল্পসহ বেশ কয়েকটি খাতে সুদহারের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। পরবর্তীতে ২০১১ সালে এক নির্দেশনার মাধ্যমে কয়েকটি খাত ছাড়া সুদহারের ঊর্ধ্বসীমা প্রত্যাহার করা হয়। তখন কৃষি ও মেয়াদি শিল্পে সুদহার নির্ধারণ করা হয় ১৩ শতাংশ, সব ধরনের রপ্তানি ঋণে ৭ শতাংশ এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য তথা- চাল, গম, চিনি, ভোজ্য তেল, ডাল, ছোলা, পিয়াজ ও খেজুর আমদানিতে সুদহারের সর্বোচ্চ সীমা ১২ শতাংশ। ২০১২ সালের জানুয়ারিতে আরেক নির্দেশনার মাধ্যমে প্রি-শিপমেন্ট রপ্তানি ঋণ ও কৃষি ছাড়া অন্যান্য খাতে সুদহারের ঊর্ধ্বসীমা প্রত্যাহার করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

No comments

Powered by Blogger.