নৌবাহিনী এখন আগের চেয়ে অনেক শক্তিশালী

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভৌগোলিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও যে কোন দুর্যোগ মোকাবিলায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে নৌবাহিনীকে। মনে রাখতে হবে নিজ বাহিনীর সুনাম ও ঐতিহ্য কখনওই ক্ষুণ্ন করা যাবে না।
তিনি ক্যাডেটদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা জাতিকে সেবা দিতে যাচ্ছেন। তাই পেশাগত দায়িত্ব ও কর্তব্যের স্বার্থে একজন দক্ষ অফিসার হিসেবে গড়ে উঠতে হবে।
সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ফোর্সগোল-২০৩০ এর আওতায় স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। খুব অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে ১৬টি জাহাজে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দুটি হেলিকপ্টার ও দুটি সামুদ্রিক টহল এয়ারক্রাফট যুক্ত করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনী নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। ২০১৬ সালের মধ্যে সাবমেরিনগুলো নৌবাহিনীতে যুক্ত হবে বলে আমরা আশা করছি।
তিনি বলেন, যুদ্ধ জাহাজ নির্মাণে বাংলাদেশ স্বনির্ভরতা অর্জন করেছে। খুলনা শিপইয়ার্ড ও নারায়ণগঞ্জ ডক ইয়ার্ডে অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ নির্মিত হচ্ছে। নৌবাহিনীর দক্ষ ব্যবস্থাপনায় এগুলোতে প্রকৌশল কর্মকা- পরিচালিত হচ্ছে। পটুয়াখালীর রাবনাবাদ এলাকায় বিমান ওঠা-নামা সুবিধাসহ একটি বিশাল নৌঘাঁটি নির্মাণ করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, তিন বাহিনী প্রধানগণ, কূটনীতিক, পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা ও ক্যাডেটদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
No comments