ক্রীতদাসের জীবন

সারা বিশ্বে প্রায় ৩ কোটি ৬০ লাখ মানুষ দাসত্বের শিকলে বন্দি। অর্থাৎ, সারা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ০.৫ শতাংশ মানুষই আধুনিক দাস। দাসপ্রথা-বিরোধী দল ওয়াক ফ্রি কর্তৃক এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। ওয়াক ফ্রি’র গ্লোবাল স্লেভারি ইনডেক্স বা বিশ্ব দাসত্ব সূচকে বলা হয়েছে, সামগ্রিকভাবে ভারতেই রয়েছে সবচেয়ে বেশি দাস। আর মৌরিতানিয়ায় দাসত্বের হার সবচেয়ে বেশি। ২০১৩ সালের চেয়ে এ সংখ্যা প্রায় ২০ শতাংশ বেশি। জরিপের প্রতিবেদনে দাসত্ব বলতে বোঝানো হয়েছে, জোরপূর্বক শ্রম, ঋণ দাসত্ব, মানবপাচার, অর্থের জন্য যৌন নির্যাতন এবং জোরপূর্বক বিয়েকে। তবে দাসত্বের আধুনিক রূপকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে এ প্রতিবেদনে, যেমন: কোন ব্যক্তিকে ঋণের জন্য ব্যবহার করা বা আরেকজন ব্যক্তির সমপত্তি হিসেবে ব্যবহার করা ইত্যাদি। উল্লেখ্য, ২০১২ সালে ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন বলেছিল, বিশ্বে প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ মানুষ জোরপূর্বক শ্রমদানের শিকার। অপরদিকে ওয়াক ফ্রি’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, তারা যে ১৬৭ দেশে জরিপ চালিয়েছে, প্রত্যেকটিতেই দাসত্বের নমুনা পাওয়া গেছে। বর্তমানে ভারতেই দাসের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ। এরপর প্রায় ৩০ লাখ দাস রয়েছে চীনে। এরপরের স্থানগুলো দখল করেছে পাকিস্তান ও উজবেকিস্তান। রাশিয়া রয়েছে পঞ্চম স্থানে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার অবকাঠামো ও কৃষি খাত অনেকটাই নির্ভর করে অভিবাসী দাসদের ওপর। আর দাসত্বের হারের দিক দিয়ে প্রথমে রয়েছে মৌরিতানিয়া। দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪ শতাংশই দাস। ৩.৯৭ শতাংশ নিয়ে কাছাকাছি রয়েছে উজবেকিস্তান। এরপরের স্থানে থাকা দেশগুলো হচ্ছে যথাক্রমে: হাইতি (২.৩%), কাতার (১.৩৬%), ভারত (১.১৪%)। 

No comments

Powered by Blogger.