‘সরকার নারীদের জন্য সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে’ -স্পিকার

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আরও এগিয়ে নিতে হলে নারীদেরও এগিয়ে আসতে। এজন্য বাল্যবিবাহ ও মাতৃমৃত্যু বন্ধ করা অত্যন্ত জরুরী। এজন্য মায়েদের পাশাপাশি পরিবারকেও সচেতন হতে হবে। আর এক্ষেত্রে সফল হলেই আগামী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হবে।
শনিবার বিকেলে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার হাজী কোরব আলী মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজ মাঠে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয় ও ইউনাইটেড নেশনস পপুলেশন ফান্ডের (টঘঋচঅ) উদ্যোগে আয়োজিত বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করে মাতৃমৃত্যু রোধ করুন বিষয়ক সমাবেশে স্পিকার আরও বলেন, দারিদ্রতা ও অশিক্ষার দোহাই দিয়ে আর কোন বাল্যবিবাহ ও মাতৃমৃত্যু যাতে না হয় সেদিকে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এছাড়াও বাল্যবিবাহের কারনে অকাল মৃত্যু ও অপুষ্ট শিশুর জন্ম হতে পারে এ বিষয়টি পরিবার, অভিভাবক ও নিজেরা যদি সচেতন হই তাহলে অবশ্যই এটি দূর করা সম্ভব। বর্তমান সরকার নারীদের জন্য সম্ভবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। মনে রাখতে হবে দেশের জনসংখ্যার অর্ধেক নারী, আর পুরুষের পাশাপাশি যদি নারীরাও এগিয়ে যেতে পারে তাহলে দেশও এগিয়ে যাবে।
সিরাজগঞ্জ-২ আসনের এমপি প্রফেসর হাবিবে মিল্লাত মুন্না’র সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবেশে নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মি. জারবান জং, এমপি রেবেকা মোমিন, জাহিদ হাসান রাসেল, আব্দুল মজিদ মন্ডল, তানভীর ইমাম, সংরক্ষিত নারী এমপি সেলিনা বেগম স্বপ্না, ইউনাইটেড নেশনস পপুলেশন ফান্ডের প্রতিনিধি মিস. আরজেনটিনা মাটাভেল পিচিন, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধকারী কিশোরী গাজীপুরের শাহিদা বানু স্বর্না, জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, কামারখন্দ উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন চৌধুরী ও বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের এসপিসিপিডি’র প্রকল্প পরিচালক এবং যুগ্ন সচিব ওয়াহিদুল ইসলাম খান বক্তব্য রাখেন। শুরুতেই বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন শিল্পীরা।

No comments

Powered by Blogger.