‘অ্যাকর্ডের তুলনায় অ্যালায়েন্স দুর্বল’

বাংলাদেশের তৈরী পোশাক কারখানার জন্য মার্কিন ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর পৃথক নিরাপত্তা পরিকল্পনা তৈরিতে সহায়তা করেছিলেন মার্কিন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যাডেলিন অলব্রাইট। সমালোচকরা বলছেন, বিশ্বের ১৮৫টি প্রতিষ্ঠান অন্য যে পরিকল্পনাটি গ্রহণ করেছে তার তুলনায় ম্যাডেলিনের পরিকল্পনার মান দুর্বল। ‘অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ সেফটি’ নামক মার্কিন ক্রেতা প্রতিষ্ঠানদের জন্য ওই পরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়তা করেছিল ৭৭ বছর বয়সী কূটনীতিক ম্যাডেলিনের কনসাল্টিং ফার্ম অলব্রাইট স্টোনব্রিজ গ্রুপ। রিপাবলিক রিপোর্টের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে নিউ ইয়র্ক পোস্ট। অ্যালায়েন্স ও এর প্রতিদ্বন্দ্বী পরিকল্পনা ‘অ্যাকর্ড অন ফায়ার অ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি’ প্রণয়ন করা হয় ২০১৩ সালের এপ্রিলে রানা প্লাজা ধসের পর। ওই ট্র্যাজেডিতে মারা যান কমপক্ষে ১১২৯ জন শ্রমিক। সমালোচকরা বলছেন, অলব্রাইটের নেতৃত্বাধীন পরিকল্পনাটি কারখানা পরিদর্শন, মেরামত কাজে অর্থায়ন এবং দণ্ড কার্যকর করার ক্ষেত্রে অনেক বেশি দুর্বল। এএফএল-সিআইও’র আন্তর্জাতিক পরিচালক ক্যাথি ফেইনগোল্ড বলেন, অলব্রাইটের সম্পৃক্ততা ছিল হতাশাজনক। সমালোচকরা ‘অ্যালায়েন্সের’ যেসব দুর্বলতার কথা তুলে ধরেছেন এগুলো হলো, বাংলাদেশের কারখানাগুলোতে মেরামত কাজের ব্যয় বহন করতে রিটেইলারদের বাধ্য করে অ্যাকর্ড, পক্ষান্তরে অ্যালায়েন্সের পরিকল্পনায় রিটেইলাররা একটি তহবিলে অর্থ অনুদান দেয় যেখান থেকে স্বল্প সুদে ঋণ নিতে পারেন কারখানা মালিকরা। কারখানা পরিদর্শনের ক্ষেত্রে অ্যাকর্ড স্বতন্ত্রভাবে নিরাপত্তা যাচাই করে থাকে আর অ্যালায়েন্স পরিদর্শক বেছে নিতে বলছে রিটেইলারদের। অ্যালায়েন্সে স্বাক্ষরকারী কোন প্রতিষ্ঠান নিয়ম অনুসরণ করতে ব্যর্থ হলে গ্রুপ থেকে বহিষ্কার করা হয় পক্ষান্তরে অ্যাকর্ডের পরিকল্পনা আদালতের মাধ্যমে বাস্তবায়নযোগ্য। সমালোচকদের এসব অভিমতের প্রেক্ষিতে অ্যালায়েন্সের এক মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশের তৈরী পোশাক খাতের কর্মীদের রক্ষার অভিন্ন লক্ষ্য অর্জন নিশ্চিত করতে অ্যাকর্ডের পাশাপাশি অ্যালায়েন্স সকল স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে একযোগে কাজ অব্যাহত রাখবে।

No comments

Powered by Blogger.