প্রতিশ্রুতি পূরণের তাগিদ

বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বর্তমানে উষ্ণ পর্যায়ে রয়েছে। এটা উষ্ণতম করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে ভারতের দায়িত্ব বেশি। সম্পর্ক উন্নয়নে বাংলাদেশকে দেয়া ভারতের সাম্প্রতিক সময়ের বিভিন্ন অঙ্গীকার পূরণ করা দরকার। বিশেষ করে তিস্তার পানি বণ্টন এবং স্থল সীমান্ত চুক্তির ব্যাপারে আশু পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। এই অঙ্গীকার পূরণ করা হলে দুই প্রতিবেশী দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে। কেননা, এই দু’টি চুক্তি না হওয়ায় বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার সম্পর্কে যেসব ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে তা চাপা পড়ে যাচ্ছে।
শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী সিনেট ভবনে আয়োজিত এক সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘প্রথম ভারত-বাংলাদেশ হাইকমিশনার সম্মেলন’ শীর্ষক দু’দিনব্যাপী এই সম্মেলন সকালে উদ্বোধন করা হয়। ভারত-বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় সম্মেলনের আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। সম্মানিত অতিথির বক্তৃতা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. আআমস আরেফিন সিদ্দিক। অন্যান্যের মধ্যে প্রকল্প সমন্বয়ক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ এবং বিভাগীয় চেয়ারপারসন অধ্যাপক আশেকা ইরশাদ বক্তৃতা করেন। প্রথম দিনের সমাপনী বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কুজ শরণ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর প্রথম দিন মোট তিনটি সেশন অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার এবং ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক হাই কমিশনাররা আলোচনায় অংশ নেন। প্রত্যেক সেশন শেষে বিশিষ্ট অতিথিরা প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন।
সম্মেলন উদ্বোধনকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক সবসময়ই ওঠানামা করেছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এটা এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, এখন তা শুধু ওপরেই উঠতে পারে। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের পরিপ্রেক্ষিতে এটা নতুন একটি উচ্চতা ও পরিপক্বতায় পৌঁছেছে। বিজেপি সরকারে আসার পরও ভারতের সঙ্গে সেই সম্পর্ক বজায় রয়েছে। দু’দেশের সম্পর্ক সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।
তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিবেশী দেশের মধ্যে যেভাবে অমীমাংসিত ইস্যু থাকে, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যেও সেরকম কিছু ইস্যু রয়েছে। তবে এগুলো অসমাধানযোগ্য নয়। এর সবচেয়ে বড় দৃষ্টান্ত সমুদ্রসীমানার বিরোধ নিষ্পত্তি। তিনি দু’দেশের স্থিতিশীল সম্পর্ক উন্নয়নে বেসরকারি পর্যায়ের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশে কর্মরত ভারতের হাইকমিশনার আইএস চাধা বলেন, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে তিনটি দিককে গুরুত্ব দিতে চাই। সেগুলো হচ্ছে- রাজনৈতিক সদিচ্ছা, পারস্পরিক বিশ্বাস এবং জাতীয় ঐকমত্য। এগুলোর ব্যাপারে যত্নবান হওয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইস্যুতে বাংলাদেশ সবসময়ই ভারতের কাছে কৃতজ্ঞতাসুলভ মনোভাব পোষণ করে। একাত্তর-পরবর্তী উভয় দেশের মধ্যে যে পারস্পরিক সম্পর্ক ছিল, তার গতিধারা রক্ষায় ব্যর্থতার দায় উভয় দেশেরই। তিনি আরও বলেন, দুই দেশের মধ্যে একটা পর্যায়ে যে আস্থার ঘাটতি তৈরি হয়েছিল তা সম্পর্ক দৃঢ় হতে বাধা সৃষ্টি করে। তবে বর্তমানে সম্পর্ক অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে ভালো। এই সম্পর্ক উন্নয়নে ভারতের দায়িত্ব বেশি। আইএস চাধা বলেন, ‘আমি স্বীকার করছি, বিশেষ করে তিস্তা পানি বণ্টন ও স্থল সীমান্ত চুক্তি পূরণে ভারতের এগিয়ে আসা দরকার।’ তিনি এই দু’টি চুক্তি পূরণ করতে না পারার ব্যাপারে ভারতে রাজনৈতিক সমঝোতার অভাবকে চিহ্নিত করেন। এ সময় তিনি দু’দেশের সম্পর্ক বাধাগ্রস্ত করতে একটি গোষ্ঠী কাজ করছে উল্লেখ করে বলেন, তবে এই গোষ্ঠীটি খুবই ক্ষুদ্র।
ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মুচকুন্দ দুবে বলেন, দু’দেশেরই অভিন্ন বিষয় হিসেবে নিরাপত্তা ইস্যু অন্যতম। সৌভাগ্যবশত এদিক থেকে বর্তমানে ভালো বোঝাপড়া রয়েছে। এছাড়া অর্থনৈতিক দিকও রয়েছে। এ ব্যাপারে বর্তমানে দু’দেশের সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় এসেছে। উভয় দেশের বাজারই উভয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই এ ব্যাপারে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। পরে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সার্ক ভালো কাজ (ভূমিকা) করতে পারেনি। এর জন্য ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার বৈরী সম্পর্কের দায় রয়েছে। তিনি নিজের সময়কার স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমার দায়িত্ব পালনকালে গঙ্গা চুক্তি হয়। ওই চুক্তিতে ন্যূনতম পানি পাওয়ার নিশ্চয়তা ছিল।
সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ফারুক আহমেদ চৌধুরী বলেন, অভিন্ন ইস্যুতে দু’দেশকেই পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে। উভয় দেশেই শক্তিশালী সুশীল সমাজ রয়েছে। দু’দেশের মধ্যকার স্থিতিশীল সম্পর্কের ক্ষেত্রে সুশীল সমাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ফারুক সোবহান দু’দেশের পাশাপাশি আঞ্চলিক কানেক্টিভিটির ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘আমরা দুই দেশ এক সঙ্গে কাজ করার পাশাপাশি ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতামূলক সম্পর্কের ভিত্তিতে কি কাজ করতে পারি না?’ কানেক্টিভিটি পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমান বা আশিয়ানের মধ্যেও তো হতে পারে। তিনি ভারত-বাংলাদেশে সরকার পর্যায়ের সম্পর্কের পাশাপাশি জনগণ পর্যায়ে যোগাযোগ স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
দেব মুখার্জি ১৯৯৫ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ভারতের কাছে বাংলাদেশ সাম্প্রতিক সময়ে একটি অনুকূল দেশ হিসেবে রয়েছে। পরবর্তী সম্পর্কের জন্য আমাদের উভয়েরই ইতিবাচক দিকে তাকানো উচিত। দু’দেশের মধ্যে কী বিষয়ে মতপার্থক্য রয়েছে তা উভয় দেশই জানি। এই মতপার্থক্য দূর করার পন্থাও জানি। কিন্তু প্রশ্ন হল, রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও হিসাব-নিকাশ। এটা রাজনৈতিক সমঝোতা ছাড়া সমাধান করা কঠিন।
বাংলাদেশে ভারতের সাবেক হাইকমিশনার বীণা সিক্রি বলেন, ভারতে বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেল না দেখানোর বিষয়টা অনেকটা ‘মিথ’-এর (গল্প) পর্যায়ে চলে গেছে। এর সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, এ ব্যাপারে অবশ্যই সরকারিভাবে কোনো বাধা নেই। বরং ভারতের জনগণ বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেল দেখতে আগ্রহী। এমনকি ভারতের কোথাও কোথাও বাংলাদেশের কোনো কোনো চ্যানেল দেখা যায়। তাই এ ক্ষেত্রে সমস্যা যেটা রয়েছে সেটা ডিস্ট্রিবিউটর (ডিশলাইন পরিবেশক) পর্যায়ে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের তথ্য বিভাগ কাজ করতে পারে।
সাবেক পররাষ্ট্র সচিব হেমায়েতউদ্দিন বলেন, বাস্তবতা হচ্ছে ভারতে বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেল তেমন একটা দেখা যায় না। কিন্তু বাংলাদেশে ভারতের সব ধরনের চ্যানেলই দেখা যায়। ১৯৮০ সালের দিকে আমি জুনিয়র কূটনীতিক হিসেবে ভারতে নিয়োজিত ছিলাম। তখন বাংলাদেশের প্রাইভেট চ্যানেল ছিল না। বিটিভি ছিল। সেটাও বাংলাদেশসংলগ্ন ভারতের অংশে দেখা যেত। আবার বাংলাদেশে অনেক হিন্দি চলচ্চিত্র আসছে। এসবের একটা ব্যবসায়িক মূল্যও রয়েছে। তিনি বীণা সিক্রির বক্তব্যের বিরোধিতা করে বলেন, পাকিস্তানি মানসিকতা নয়, বরং বাণিজ্যিক কারণে হিন্দি ছবি এদেশে দেখা যায় না। সুতরাং এখানে পাকিস্তানি মানসিকতার কোনো বহিঃপ্রকাশ নেই।
১৯৯৫-১৯৯৯ মেয়াদে ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার ছিলেন সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সিএম শফি সামী। আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধুর অনুরোধে ভারত দ্রুত সৈন্য প্রত্যাহার করে বাংলাদেশ থেকে। সেটা ছিল দু’দেশের আস্থার সম্পর্কের অন্যতম বড় একটা দৃষ্টান্ত। কিন্তু পরে বিভিন্ন সময়ে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। ২০১০ সালে ভারতে শেখ হাসিনার সফরের পর সম্পর্ক নতুন মোড় নেয়। পরে মনমোহন সিংয়ের সফরের পর এটা আরও দৃঢ়তার দিকে যায়। কিন্তু দু’দেশের মধ্যে যেসব চুক্তি হয়েছে সেগুলোর বাস্তবায়নে বেদনাদায়কভাবে ধীরগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। বাংলাদেশের জন্য বিশেষ করে অভিন্ন নদীর পানির সুষম বণ্টন, উজানে বাঁধ দিয়ে একতরফাভাবে পানি প্রত্যাহার ইত্যাদি বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অববাহিকাভিত্তিক পানি ব্যবস্থাপনার ব্যাপারে বাংলাদেশের আগ্রহ রয়েছে।
১৯৭৯-১৯৮১ সালে কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারের দায়িত্ব পালনকারী হারুন-উর রশীদ বলেন, শুধু ভারত-বাংলাদেশই নয়, গোটা দক্ষিণ এশিয়ায়ই নিরাপত্তাগত ইস্যুতে অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নেই। তাই এ ব্যাপারে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে ভারত অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে। নিরাপত্তা ইস্যুতে ভারত উদ্যোগ নিতে পারে। তবে এক্ষেত্রে ভারতকে এমন উদ্যোগ নিতে হবে যাতে প্রতিবেশী ছোট দেশগুলো আস্থা পায়। তিনি সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, যেভাবে বেড়া দেয়া হয়েছে তাতে ট্রানজিট দেয়া কী সমীচীন হবে- মানুষ এমন প্রশ্ন করে থাকে। আবার সীমান্ত হত্যা কমলেও অপহরণ ও নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে। সাধারণ মানুষ মনে করে, ভারত বাংলাদেশের মানুষের জীবনকে মূল্যবান মনে করে না। তাই এ ধরনের অঘটন (মিসগিভিং) দূর করতে হবে।
সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ূন কবির বলেন, দু’দেশের সম্পর্কে জনগণ বিশেষ করে বাংলাদেশের দিক থেকে নতুন প্রজন্ম কী ভাবছে তা গুরুত্ব দিতে হবে। বাংলাদেশ ও ভারত দু’টিই স্বাধীন দেশ। এটা উভয় দেশকেই মাথায় রাখতে হবে। পারস্পরিক সম্মানবোধ জরুরি। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য ভারতকে বাংলাদেশের মানুষ সম্মান করে। বাংলাদেশের মানুষও সম্মান প্রত্যাশা করে ভারতের কাছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক কূটনৈতিক দিক থেকে পৃথিবীর জন্য দৃষ্টান্ত হতে পারত। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ঘাটতি রয়ে গেছে। সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনা মানুষ ইতিবাচকভাবে নেয় না। এ সময় তিনি বড় অর্থনীতির দেশ হিসেবে সম্পর্কের ক্ষেত্রে চীনের ভূমিকার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। ভারতে বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার তারিক আহমদ করিম বলেন, আমরা যদি দক্ষিণ এশিয়াকে উন্নত দেখতে চাই তাহলে অবশ্যই বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় থাকতে হবে।
বাংলাদেশে ভারতের সাবেক হাইকমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, ভারত যে বাংলাদেশকে ঋণ দিয়েছে তা বাস্তবায়নের খবর সন্তোষজনক। বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে ভারতের আরও অর্থ ঋণ দেয়া দরকার। তিনি বাণিজ্য বিনিয়োগে কাঠামোগত পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করে বলেন, এ ক্ষেত্রে ভারতের জন্য একান্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনের প্রস্তাবটি ভালো ধারণা। তিনি সমুদ্রে ভারত-বাংলাদেশের যৌথ অনুসন্ধান কার্যক্রমের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সাবেক হাইকমিশনার রাজিত মিত্তার বলেন, ভারত বাংলাদেশকে শুল্কমুক্তভাবে পণ্য রফতানির সুবিধা দিয়েছে। এই সুবিধা দেয়ার সময়ে ভারতের ব্যবসায়ীদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের রফতানিকারকরা এই শুল্কমুক্ত সুবিধা থেকে লাভটা ভোগ করতে পারছে না। এটা কেন পারছে না, সেই সমস্যাটা খুঁজে বের করা দরকার।
সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন বলেন, ভারতের কাছে বাংলাদেশের প্রত্যাশা অভিন্ন নদীর পানির সুষ্ঠু বণ্টন, সীমান্তে হত্যা বন্ধ এবং ভিসা সহজীকরণ ইত্যাদি। বিপরীত দিক থেকে ভারতের প্রত্যাশা নিরাপত্তা ইস্যু, করিডোর, কানেক্টিভিটি ইত্যাদি। বাংলাদেশ প্রত্যাশিত সহযোগিতা পায়নি বলেই আস্থার ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
আগরতলায় বাংলাদেশ ভিসা অফিসের উন্নয়নে ভারতের সম্মতি : আগরতলায় বাংলাদেশের ভিসা অফিসকে সহকারী হাইকমিশনে উন্নীত করার বাংলাদেশের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে ভারত। শুক্রবার ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.