শিশু একাডেমীতে নবান্নের উচ্ছাস

রম্য বক্তৃতা, বিস্কুট দৌড়, মোরগ লড়াই, ঘুড়ি বানানো, যেমন খুশি তেমন সাজো, হাঁড়ি ভাঙা ও বালিশ লড়াইসহ বিভিন্ন আয়োজনে শিশুদের হইহুল্লোড়। নবান্ন উৎসব বলে কথা, তাই বড়রাই বা বাদ যাবে কেন। তাঁরা অংশ নেন পয়সা দৌড়, মার্বেল দৌড়, মিউজিক্যাল চেয়ার, ঝুড়ির মধ্যে বল নিক্ষেপ ও বালিশ লড়াই প্রতিযোগিতায়। ফলে দিনভর টানটান উত্তেজনা।
আজ শনিবার সকাল থেকে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী প্রাঙ্গণে চলে এই উৎসব। ঋতু পরিক্রমায় হাজার বছর ধরে আবহমান গ্রাম–বাংলার ঘরে ঘরে আনন্দ বয়ে আনে নতুন ফসল। নতুন ফসলকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত হয় নবান্ন উৎসব। এই ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী এবারই প্রথমবারের মতো নবান্ন উৎসবের আয়োজন করে।
সকালে একাডেমী প্রাঙ্গণে গ্রাম-বাংলার পিঠা প্রতিযোগিতা ও প্রাক-প্রাথমিক এবং শিশু বিকাশ কেন্দ্রের শিশুদের নতুন ক্লাসরুম উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে উৎসবের আনুষ্ঠানিকতার শুরু। একাডেমীর বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণার্থী শিশুসহ অতিথি শিশুশিল্পী, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু, শিশু বিকাশ কেন্দ্রের শিশুশিল্পী ও একাডেমীর প্রশিক্ষকদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
উৎসবের বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার উদ্বোধন করেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন একাডেমীর চেয়ারম্যান কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।
বিকেলে পুরস্কার বিতরণী এবং উৎসবের সমাপনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রেবেকা মমিন, প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব আবদুল মালেক, সাংসদ কবি কাজী রোজী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মফিদুল হক প্রমুখ উৎসবের বিভিন্ন পর্বে উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন একাডেমীর পরিচালক মোশাররফ হোসেন।
>>বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর প্রাঙ্গণে শিশুশিল্পীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

No comments

Powered by Blogger.