জনসমর্থন নেই বিএনপি জামায়াতের আন্দোলনে

প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের সরকার উৎখাতের আন্দোলন মুখেই সীমাবদ্ধ। এতে জনগণের কোনো সমর্থন নেই। তিনি আরও বলেন, কিছু কিছু রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তি আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান সরকারকে উৎখাত করার সময় বেঁধে দিচ্ছেন। কিন্তু তাদের এমন আন্দোলনে জনগণ সাড়া দিচ্ছে না। এতেই বোঝা যায়, আল্লাহর অশেষ রহমতে বর্তমান সরকারের প্রতি জনগণের অগাধ আস্থা রয়েছে। বুধবার জাতীয় সংসদে অধ্যাপক আলী আশরাফের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। ডা. রুস্তুম আলী ফরাজীর আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো কোনো মহলের নেতিবাচক প্রচারণা সত্ত্বেও দুটি আন্তর্জাতিক সংস্থার (আইপিইউ এবং সিপিএ) প্রধান নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ। এটি বহির্বিশ্বের সঙ্গে সরকারের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কেরই ইঙ্গিত দেয়। এর মধ্য দিয়ে নিশ্চিত হয়েছে, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বর্তমান সরকারের অগ্রযাত্রায় বিশ্ব সম্প্রদায়ের পুরোপুরি আস্থা রয়েছে। একেএম রহমতুল্লার প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের মধ্য দিয়ে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ভিত সুদৃঢ় হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি ১৯৯১ সালে তিনিই প্রথম করেছিলেন দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, সম্পূর্ণ স্বাধীন, নিরপেক্ষ এবং আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ট্রাইব্যুনালে বিচার প্রক্রিয়াকে ১৬ জানুয়ারি ইউরোপীয় পার্লামেন্টে ইতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। মানবতাবিরোধীদের পক্ষ অবলম্বনকারী গোষ্ঠীর ব্যাপক আন্তর্জাতিক প্রোপাগান্ডা এবং বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচের পরও তা বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছে।
একেএম শাহজাহান কামালের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের মোবাইল ফোনের কলরেট বিশ্বের অন্যতম সর্বনিু। তাই সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন কলরেট পুনর্নির্ধারণের আপাতত কোনো পরিকল্পনা নেই। তিনি বলেন, বর্তমানে গড় কলরেট প্রতি মিনিট ৮৩ পয়সা। ডা. রুস্তুম আলী ফরাজীর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কাউন্সিলের মহাসচিব পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য বিএনপি-জামায়াত সরকারে যাকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছিল সে একজন যুদ্ধাপরাধী। প্রথম পর্যায়ে সে পেয়েছিল মাত্র এক ভোট এবং পরের পর্যায়ে সে নিজের ভোট ছাড়া অন্য কোনো ভোটও পায়নি।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বর্তমানে সশস্ত্র বাহিনীতে এক হাজার ৪২৫ জন নারী কর্মকর্তা চাকরিরত রয়েছেন। এর মধ্যে সেনাবাহিনীতে ৯১২, নৌবাহিনীতে ২৭০ এবং বিমান বাহিনীতে ২৪৩ জন কর্মরত রয়েছেন। সব নারী অফিসার ও সৈনিককে পুরুষ সদস্যের সমান সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। জাতীয় পার্টির আবদুল মুনিম চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ ও ভুটান যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ও ভুটানের দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্যের আরও সম্প্রসারণে দু’দেশের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য আরও বাড়াতে এখন আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। উভয় দিকেই অবকাঠামো তৈরি হয়েছে। এ জন্য এখন ভারতের মধ্য দিয়ে ট্রানজিট প্রয়োজন। আজ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার সঙ্গে ভুটানের রাষ্ট্রদূত পেমা চডেন সাক্ষাৎকালে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব একেএম শামীম চৌধুরী বলেন, ভুটানের অভ্যন্তরীণ বাজারের চাহিদা মেটাতে দেশটি বাংলাদেশ থেকে সবজি আমদানি করতে পারে।

No comments

Powered by Blogger.