হংকংয়ে দরজা ভেঙে আইনসভায় ঢুকল বিক্ষোভকারীরা

হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের একদল সমর্থক মঙ্গলবার রাতে পুলিশের বাধা অতিক্রম করে আইনসভায় প্রবেশ করে। এসময় পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বেধে যায়। মঙ্গলবার রাত ১টার পর একদল তরুণ বিক্ষোভকারী পার্লামেন্টের দরজা ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেন। তাদের কয়েকজন মুখোশ পরা ছিলেন। বিক্ষোভকারীদের কেউ কেউ ভবনের ভেতরে ঢুকতে সক্ষম হয়েছিলেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
লাঠি ও হেলমেট হাতে প্রায় ১০০ দাঙ্গা পুলিশ বিক্ষোভকারীদের পিছু হটতে বারবার সতর্ক করেছিল। এ সময় তাদের হাতে লাল পতাকা ছিল। একপর্যায়ে পুলিশ পিপার স্প্রে ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়। বিক্ষোভকারীরা রাতভর কয়েকবার ভবনে ঢোকার চেষ্টা করে। তবে বুধবার দিনের শুরুতে তারা পিছু হটে।
ডেমোক্রেটিক আইনপ্রণেতা ফার্নান্দো চেয়াং বলেন, এটা একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। আন্দোলন এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে চলছে। বিক্ষোভকারীদের থামাতে যে কয়েকজন লোক চেষ্টা করছিলেন তার মধ্যে এই আইনপ্রণেতাও রয়েছেন। বিক্ষোভকারীরা এসময় পুলিশ চলে যাও বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীরা আইন পরিষদ ভবনের (লেগকো) একটি পার্শ্ব দরজা ভাঙতে ধাতব পদার্থ ব্যবহার করেন। পুলিশ প্রধান বিক্ষোভস্থলের একটি অংশ শান্তিপূর্ণভাবে অপসারণ করার পর এ সংঘর্ষ হয়। রাজনৈতিক সংস্কার তথা পুরোপুরি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে শিক্ষার্থীসহ হংকংয়ের সর্বস্তরের মানুষ আট সপ্তাহেরর বেশি সময় ধরে দেশটির তিনটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা দখল করে রেখেছেন। চীনের অধীন আধা-স্বায়ত্তশাসিত এ ভূখণ্ডে ২০১৭ সালের নির্বাচনে প্রার্থীদের সম্পর্কে খোঁজখবর নেয়ার বেইজিং পরিকল্পনায় ক্ষুব্ধ হয়ে আন্দোলনে নেমেছে গণতন্ত্রকামীরা।
চীন বলেছে, হংকংবাসী ভোট দিতে পারবেন। তবে প্রার্থীরা যোগ্য কিনা সে সম্পর্কে খোঁজখবর নেবে বেইজিং। ছাত্রনেতা লেস্টার সাম এএফপিকে বলেন, আমরা এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখতে চাই না। আমরা বিক্ষোভকারীদের শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করার এবং অহিংস নীতি কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি।
পুলিশ জানায়, সংঘর্ষের সময় তিন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছে। এছাড়া চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.