সিলেট কোতোয়ালি থানার ওসি ও এসআই সাসপেন্ড

সিলেট কোতোয়ালি থানাহাজতে রিমান্ডে এনে নারী আসামিকে অমানুষিক নির্যাতনের দায়ে থানার ওসি (তদন্ত) ও এক এসআইকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তারা হলেন ওসি (তদন্ত) মনিরুল ও এসআই হাসিনা আক্তার আঁখি। অপহরণ মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে স্বামী, সন্তানসহ ওই নারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে স্বামী ও সন্তানকে ছেড়ে দেয়া হয়। নির্যাতিতার স্বামী কিশোর ভট্টাচার্য গত সোমবার পুলিশ কমিশনার বরাবর এ ব্যাপারে অভিযোগ করেন। অভিযোগে কিশোর ভট্টাচার্য বলেন, গত ৭ নভেম্বর তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৯ নভেম্বর মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত তার ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কোতোয়ালি থানায় আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে কোনো তথ্য না পেয়ে বাদীপক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে রাতে ওসি (তদন্ত) মনিরুল ও এসআই আঁখি অভিযুক্তের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালান। ওসি মনিরুল প্রথমে ওই নারীর গলার ভেতর পাইপ ঢুকিয়ে জোরপূর্বক মদ খাওয়ান এবং পায়ের বুট দিয়ে গলায় চাপ দিয়ে ধরেন। অপহরণের ঘটনা স্বীকার না করলে তাকে ধর্ষণেরও হুমকি দেন মনিরুল। এরপর এসআই আঁখি নারী আসামির গোপনাঙ্গে লাঠি ঢুকিয়ে আঘাত করে বলেন, তুই শিশু অপহরণ করেছিস, তোর মা হওয়ার সাধ মিটিয়ে দেব। এইভাবে তিনদিন নির্যাতনের পর ওই নারী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
ওই নারীর শরীরে জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। নির্যাতনের ফলে নারীর জীবন সংকটাপন্ন হয়েছে বলে তার স্বামী অভিযোগ করেন। অভিযোগ পাওয়ার পর সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় এই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে বিষয়টি জানিয়েছেন অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. রহমত উল্লাহ।

No comments

Powered by Blogger.