ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রাইব্যুনালে বিচার হবে

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত করে ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচার করা হবে। আর জানুয়ারির মধ্যে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শেষ করা হবে। বুধবার নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা সনদ জালিয়াতির বিচার, সরকারি জমি উদ্ধারসহ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ও বিতর্কিত বিষয় মীমাংসার জন্য বিশেষ আইন প্রণয়ন করে ট্রাইব্যুনাল গঠনের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ নেয়ার অভিযোগে অবসরে যাওয়া চার সচিবের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়নি কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, চাকরি যাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে তারা কোনো মামলা বা রিট পিটিশন করেন কিনা আমরা তার জন্য অপেক্ষা করছি। এ সময়ের মধ্যে তারা কোনো আইনি পদক্ষেপ না নিলে আমরাই মামলা করব।
ট্রাইব্যুনাল গঠনের যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করে মোজাম্মেল হক বলেন, প্রচলিত আদালতে বিচার করতে দীর্ঘ সময় লাগে। তাই ট্রাইব্যুনাল গঠনের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। তবে এর আগে আইন প্রণয়ন করতে হবে।
অসত্য তথ্য দিয়ে যারা মুক্তিযুদ্ধের সনদ নিয়েছেন তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশব্যাপী শুরু হতে যাওয়া উপজেলা পর্যায়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের পর আমরা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সনদ বাতিল করব। আগামী বছরের জানুয়ারি মাসের মধ্যে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই শেষ হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, যাচাই-বাছাইয়ের জন্য এখনও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন হয়নি। আগামী ২ ডিসেম্বর জাতীয় মুক্তিযুদ্ধ কাউন্সিলের বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে।
প্রতারণা করে মুক্তিযোদ্ধার সনদ নেয়ায় ৬ অক্টোবর স্বাস্থ্য সচিব এমএম নিয়াজ উদ্দিন ও পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সচিব একেএম আমির হোসেন স্বেচ্ছাবসরে যান। ৩০ অক্টোবর অবসরোত্তর ছুটিতে যান ওএসডি থাকা সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কেএইচ মাসুদ সিদ্দিকী। এছাড়া ওএসডি থাকা অপর যুগ্মসচিব আবুল কাশেম তালুকদারকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.