বিশ্বে যুবকের সংখ্যাই বেশি

মানবজাতির ইতিহাসে এই প্রথম পৃথিবীতে যুবকের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি হয়েছে। জাতিসংঘ মঙ্গলবার এ সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশের অবস্থান আট নম্বরে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমান বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-চতুর্থাংশ যুবক। অর্থাৎ প্রতিবেদন অনুযায়ী বর্তমান বিশ্বের জনসংখ্যা ৭১০ কোটি। এর মধ্যে ১০৮ কোটি লোকই যুবক, যাদের বয়স ১০ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে।
যুবকের সংখ্যার দিক থেকে তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম। প্রতিবেদনে বাংলাদেশে যুবকের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে চার কোটি ৮০ লাখ। তালিকার শুরুতে রয়েছে ভারতের নাম। দেশটিতে যুবকের সংখ্যা ৩৫ কোটি ৬০ লাখ। আর বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশ চীনের অবস্থান রয়েছে দুই নম্বরে। দেশটিতে যুবকের সংখ্যা ২৬ কোটি ৯০ লাখ।
এছাড়া ছয় কোটি ৭০ লাখ যুবক নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া। সাড়ে ছয় কোটি যুবকের দেশ যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে চতুর্থ স্থানে। পঞ্চম স্থানে রয়েছে পাকিস্তান। দেশটির যুবকের সংখ্যা পাঁচ কোটি ৯০ লাখ। পাঁচ কোটি ৭০ লাখ যুবক নিয়ে তালিকার ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে নাইজেরিয়া। আর সপ্তম স্থানে রয়েছে ব্রাজিল। দেশটিতে যুবকের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে পাঁচ কোটি এক লাখ।
ইউনাইটেড ন্যাশনস পপুলেশন ফান্ড প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর আগে পৃথিবীতে যুবকের সংখ্যা এত বেশি ছিল না। তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে মঙ্গলবার স্টেট অব ওয়ার্ল্ড পপুলেশন ২০১৪ নামে ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই বিপুলসংখ্যক যুবকের বেশির ভাগই বাস করে বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোতে, যেখানে তাদের উন্নয়ন ও সম্ভাবনা কাজের লাগানোর বাধা সবচেয়ে বেশি। প্রতি ১০ জন যুবকের মধ্যে প্রায় ৯ জনই বাস করে ওই সব অনুন্নত দেশে। প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্বের ৪৮টি অনুন্নত দেশের বেশির ভাগ জনগোষ্ঠী শিশু ও কিশোর।
আর আফগানিস্তান ও সাব-সাহারাভুক্ত আফ্রিকান দেশগুলোর অর্ধেক মানুষের বয়স ১৮ বছরের নিচে। এসব উঠতি জনগোষ্ঠীর চাহিদা মেটাতে দেশগুলো শিগগির চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
৪ লাখ মানুষ পানিতে ডুবে মারা যায়
বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ৩ লাখ ৭২ হাজার মানুষ পানিতে ডুবে মারা যায় বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-ডব্লিউএইচও। সোমবার জাতিসংঘের উপ-মুখপাত্র ফারহান হক এ সংক্রান্ত পরিসংখ্যানের তথ্য উপস্থান করেছেন।
ডব্লিউএইচও সোমবার ড্রওনিং: প্রিভেন্টিং অ্যা লিডিং কিলার শীর্ষ বৈশ্বিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। বিশ্বে প্রতি ঘণ্টায় ৪০ জনেরও বেশি মানুষ পানিতে ডুবে যাওয়ার কারণে মৃত্যুবরণ করেন বলে এই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়। বিশ্বের প্রতিটি অঞ্চলে শিশু ও তরুণদের মৃত্যুর শীর্ষ যে ১০টি কারণ রয়েছে পানিতে ডুবে যাওয়া সেই কারণগুলোর অন্যতম বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। উপ-মুখপাত্র হক বলেন, এই প্রতিবেদনে পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণ করা রোধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ ও সম্পদ ব্যবহারের আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি জাতীয় নীতিনির্ধারক এবং স্থানীয় সামাজিক ব্যবস্থায় বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণেরও প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
হক আরো জানান, পানিতে ডুবে মৃত্যুর বিষয়টিকে চলমান বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বিতর্কের সঙ্গে অখণ্ডরূপে দেখানো হয়েছে। যেমন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বন্যা বেড়ে যাচ্ছে, গণহারে অভিবাসী হওয়ার ঘটনা ঘটছে এমন কি অবৈধ শরণার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় করে সমুদ্র পাড়ি দিচ্ছে। এছাড়া পানি ব্যবস্থাপনা ও স্যানিটেশনের মতো গ্রামীণ উন্নয়ন বিষয়ক কর্মকাণ্ডও এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ইকোনোমিক টাইমস, টাইসম অব ইন্ডিয়া।

No comments

Powered by Blogger.