দু'বন্ধুর লড়াইয়ে সাকিবের জয়

বিজয় দিবস টি২০ টুর্নামেন্টে বিজয়ের হাসি সাকিব-রুবেলদের।গতকাল ফাইনালে ইউসিবি-বিসিবি
একাদশকে হারিয়ে শিরোপা জয়ের পর ট্রফি নিয়ে প্রাইম ব্যাংকের ক্রিকেটারদের উল্লাস বিসিবি
সোহাগ গাজী নিজের বলে ফিরতি ক্যাচ নিয়ে সতীর্থদের সঙ্গে উল্লাসে মাতলেও উইকেটে ঠায় দাঁড়িয়ে ছিলেন তামিম ইকবাল। শেষ পর্যন্ত আম্পায়ারের কথায় অতি কষ্টে ড্রেসিংরুমের দিকে রওনা হন। শুরুতেই তামিমকে এভাবে হারিয়ে মানসিকভাবে পিছিয়ে পড়া ইউসিবি-বিসিবি একাদশ আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। প্রাইম ব্যাংকের ১৭৪ রান তাড়া করতে নেমে ১১৯ রানে থেমে যেতে হয় তাদের। ৫৫ রানে ফাইনাল জিতে প্রথম বিজয় দিবস টি২০ ট্রফি নিজেদের ঘরে তুলেছে সাকিব আল হাসানের প্রাইম ব্যাংক। দুই বন্ধুর ফাইনালটা যতটা উত্তেজনা ছড়িয়ে ছিল, ততটা কিন্তু জমেনি। শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে উপস্থিত হাজারপাঁচেক দশর্ককে তাই অনেকটাই একপেশে ফাইনাল উপভোগ করতে হয়। তবে দ্বিতীয় ওভারে তামিম আউট হওয়ার পরও অবশ্য ভালোই জবাব দিচ্ছিলেন রনি তালুকদার ও ইমরুল কায়েস; কিন্তু চমৎকার খেলতে থাকা ওপেনার রনি পেসার রুবেলের বলে সৈকতের হাতে ক্যাচ দিয়ে বসেন। ইমরুল কায়েসকে ফেরান স্পিনার তাইজুল। লং-অফে প্রায় কুড়ি গজে দৌড়ে দুর্দান্ত ক্যাচটি লুফে নেন রুবেল। পরপর দুটি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ইউসিবি-বিসিবি। গতকাল বোলিংও বেশ ভালো করেছেন রুবেল হোসেন। চার ওভারে ১৯ রান দিয়ে একটি উইকেট দখল করেন। এজন্য ম্যাচসেরার পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। তবে শুরুতে নিজের বিতর্কিত আউট নিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেন তামিম ইকবাল। মাঠ থেকে ড্রেসিংরুমে গিয়ে আউট নিয়ে উচ্চবাচ্য করায় খেলা শেষে শুনানিতে তাকে দশ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়। তবু আউট নিয়ে অভিযোগ করলেন তামিম। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, 'যে সিদ্ধান্ত আমার বিপক্ষে দেওয়া হয়েছে, সেটা জীবনে কোনো দিন দেখিওনি, শুনিওনি। ভবিষ্যতে শুনব বলেও মনে হয় না। সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ আমার ওপর দল অনেকটা নির্ভর করে থাকে। আমি যদি একটা ভালো শুরু করে দিতে পারতাম, তাহলে ১৭৫ তাড়া করা সম্ভব ছিল। ওই জায়গায় ছন্দ নষ্ট হয়েছে।'
টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রাইম ব্যাংক গতকালও চমৎকার সূচনা করে। দুই ওপেনার এনামুল ও লিটন ৫৯ রান তুলে নেন। ফাইনালে তেমন কিছু করতে না পারলেও ২৯৮ রান করে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার পান এনামুল হক বিজয়। লিটন কুমার দাস গতকাল ৩৩ বলে হাফ সেঞ্চুরিতে পেঁৗছার পর ৬২ রানে আউট হন। শেষদিকে অলক কাপালি ৭ বলে ১৮ রান করে দলকে লড়াই করার মতো পুঁজি এনে দেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
প্রাইম ব্যাংক : ২০ ওভারে ১৭৪/৬ (লিটন ৬২, এনামুল ২৭, সাবি্বর ২৫, কাপালি ১৮, সাকিব ১৪; আল-আমিন ৩/৩১, মুক্তার ২/৩১, আরাফাত সানি ১/৩৪)। ইউসিবি-বিসিবি : ২০ ওভারে ১১৯/৮ (রনি ৩২, ইমরুল ২৩, মার্শাল ২১*, মিঠুন ১০; তাইজুল ২/২১, রুবেল ১/১৯, সাকিব ১/২৭, সোহাগ ১/২৯)। ফল : প্রাইম ব্যাংক ৫৫ রানে জয়ী। ফাইনালসেরা : রুবেল হোসেন। টুর্নামেন্টসেরা : এনামুল হক বিজয়।

No comments

Powered by Blogger.