ফুলবাড়ী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে প্রাণ হারান ৩ যুবক শাহিনুর রহমান শাহিন

ফুলবাড়ী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ২০১৩ সালে ৩ যুবক নিহত হন । এ সময় আহত হয়েছেন ৩০ গরু ব্যবসায়ী।
ফুলবাড়ী উপজেলায় প্রায় ৪০ কিলোমিটার সীমান্ত। স্থানীয় চোরাকারবারিরা রাখালের পেশায় সক্রিয় থাকায় প্রচুর টাকা লুটে নিচ্ছেন প্রতিরাতেই। তাদের এসব কার্যক্রম সীমান্ত এলাকায় দেখে সখ্য করে কিংবা দালালদের খপ্পরে পড়ে কলেজপড়ূয়া হতদরিদ্র ও নিম্নবিত্ত ছাত্ররা এ কাজে জড়িয়ে পড়ছেন। সীমান্তের রাস্তাঘাট তাদের চেনা না থাকায় বিএসএফের গুলিতে প্রাণ যাচ্ছে এসব ছাত্রের। উপজেলার জোম্মারপাড় এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে মারুফ হোসেন মোকছেদ ছিলেন ফুলবাড়ী ডিগ্রি কলেজের বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্র। দালালদের খপ্পরে পড়ে গরু পারাপার করার সময় ১৬ ফেব্রুয়ারি বিএসএফের গুলিতে মারা যান। একইভাবে ২৮ সেপ্টেম্বর মারা যান সীমান্তঘেঁষা ভারতের শুকারুকুটি গ্রামের কায়ছার আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম। কাঁটাতারের শক্ত বেড়া আর হাইভোল্টেজের সার্চলাইট ফাঁকি দিয়ে ১১ অক্টোবর গরু পারাপারের সময় বিএসএফের গুলিতে মারা যান ভারতের সীমান্তঘেঁষা নাগোয়া বাড়ি গ্রামের আয়নাল হকের ছেলে মফিদুল। আহত হয়েছেন ৩০ জন। এ ছাড়া এই অঞ্চলে আশ্বিন-কার্তিক মাসে কাজ না থাকায় শ্রমিকরা দালালদের পাল্লায় পড়ে পাচারের সময় এবং নোম্যান্সল্যান্ডে ভুলবশত যাওয়ায় বিএসএফের হাতে আটক হয় ১৫ জন। আটকদের স্বজন ছালাম ও জব্বার আলী জানান, দিলি্ল থেকে দেশে ফেরার পথে গত এক বছরে কোচবিহার জেলহাজতে ঠাঁই হয়েছে ৪৩ বাংলাদেশি নারী-পুরুষের। তারা বিনা দোষে কারাভোগ করছেন।
শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শরিফুল আলম সোহেল জানান, মারুফ হোসেন মোকছেদকে গরু ব্যবসায়ীদের পাল্লায় পড়ে অকালে প্রাণ দিতে হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.