কর্মশালায় ইআরডি কর্মকর্তারা রাজনৈতিক সহিংসতার প্রভাব বিদেশি সাহায্যে পড়বে না

রাজনৈতিক সহিংসতায় বিদেশি সাহায্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) নীতিনির্ধারক পর্যায়ের কর্মকর্তারা। তারা বলেন, দাতারা সব সময় বাংলাদেশে সুশাসন দেখতে চায়। কেননা, দাতারা মনে করে, সুশাসন থাকলে দুর্নীতি কম হবে। তখন বৈদেশিক সাহায্য পাওয়া যাবে বেশি। গতকাল ইআরডি আয়োজিত এক 'কর্মশালায়' এসব কথা বলেন তারা। ইকনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সহায়তায় কর্মশালার আয়োজন করে ইআরডি। এতে সূচনা বক্তব্য রাখেন ইআরডি সচিব আবুল কালাম আজাদ। কর্মশালায় 'ম্যানেজমেন্ট অব ফরেন এইড' শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইআরডির অতিরিক্ত সচিব প্রশাসন কাজী শফিকুল আযম। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন অতিরিক্ত সচিব আরস্তু খান। এ সময় ইআরডির অতিরিক্ত সচিব শফিকুল আযম, যুগ্ম সচিব সাইফুদ্দিন আহমদ, মনোয়ার হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। দিনব্যাপী এ কর্মশালায় ৫১ জন সাংবাদিক অংশ নেন। কর্মশালায় ইআরএফ সভাপতি খাজা মাঈন উদ্দিন মানু ও সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম হারমাছি উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ইআরডি সচিব এ ধরনের কর্মশালা অর্থনৈতিক রিপোর্টারদের জ্ঞান সমৃদ্ধ ও পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে সহায়তা করবে বলে আশা প্রকাশ করেন। মূল প্রবন্ধে শফিকুল আযম বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বৈদেশিক সহায়তার গুরুত্ব, প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া এবং এর ব্যবহারে বিশদ আলোকপাত করেন। প্রবন্ধে স্বাধীনতা-উত্তর থেকে এ পর্যন্ত বৈদেশিক সাহায্যের চিত্রও তুলে ধরেন তিনি। এর ওপর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন আরস্তু খান।
এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত সচিব আরস্তু খান বলেন, বাজেট বাস্তবায়নে সহায়তা হিসেবে এখন পর্যন্ত ৩০০ কোটি ডলার ঋণ পাওয়া গেছে। এ ঋণ নমনীয় হলেও শর্তমুক্ত নয়। তিনি মনে করেন, কত পরিমাণ ঋণ পাওয়া যাবে বা অবমুক্ত হবে তা নির্ভর করবে বাস্তবায়ন চিত্রের ওপর। চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বৈদেশিক সহায়তায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না_ উল্লেখ করেন তিনি। আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, নতুন সরকার এলে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ফোরাম (বিডিএফ) বা উন্নয়ন সহযোগীদের বৈঠক হবে। ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বৈদেশিক সহায়তা বেড়েছে ৩ শতাংশ।
ইআরডি সচিব বলেন, দাতারা দেখে তারা যে টাকা দিয়েছে তা ঠিকমতো ব্যবহার হয়েছে কি-না। সুশাসন তাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মূল প্রবন্ধে বলা হয়, স্বাধীনতা-উত্তর এ পর্যন্ত পাইপলাইনে আটকে আছে প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি ডলার। অপরদিকে, বাংলাদেশ এ পর্যন্ত ৫ হাজার ৯৩০ কোটি ডলার পেয়েছে। এর মধ্যে ৪২ শতাংশ অনুদান, ঋণের অংশ ৫৮ শতাংশ।

No comments

Powered by Blogger.