মেহেরপুর ও জয়পুরহাটে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ২

যৌথ বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি ইউপি সদস্য হিজুলি গ্রামের জামায়াত নেতা আবদুল জব্বার মালিথা ওরফে জব্বার মেম্বার (৫৫) ও জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলায় আরমান হোসেন নামে এক ডাকাত নিহত হয়েছে। মেহেরপুরের পুলিশ সুপার একেএম নাহিদুল ইসলাম জানান, সোমবার সকালে জেলার হিজুলি গ্রামের জামায়াত সভাপতি জব্বার মেম্বারকে আটক করা হয়। এরপর রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাকে সঙ্গে নিয়ে জামায়াতের আঞ্চলিক নেতা মাওলানা আবদুল মতিনকে ধরতে তারা রাজনগর গ্রামে যায়। গ্রামের গোরস্তানের পাশে পেঁৗছলে জামায়াত শিবিরের কর্মীরা তাকে ছিনিয়ে নিতে প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং ককটেলের বিস্টেম্ফারণ ঘটায়। এ সময় যৌথ বাহিনীও গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন জব্বার। রাতেই লাশ উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়। নিহত জব্বার মেম্বার হিজুলি গ্রামের আবদুল মালিথার ছেলে। মেহেরপুর সদর থানার ওসি রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি একনলা বন্দুক, এক রাউন্ড রাবার বুলেট, পাঁচটি ককটেল, কাঁথা, বালিশ, মশারি ও চার জোড়া স্যান্ডেল উদ্ধার করা হয়েছে। তবে পরিবারের সদস্যদের দাবি_ বন্দুকযুদ্ধে নয়, জামায়াতের রাজনীতি করায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ বুধবার জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহ্বান করেছে জামায়াত।
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপেজলায় মঙ্গলবার বন্দুকযুদ্ধে এক ডাকাত নিহত হয়েছে। পুিলশ জানিয়েছে, নিহতের নাম আরমান হোসেন (৪৫)। বাড়ি উপজেলার পূর্ণ গোপীনাথপুর গ্রামে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। পুলিশ সুপার হামিদুল ইসলাম সমকালকে জানান, মঙ্গলবার দুপুুর ২টার দিকে উপেজলার পূর্ণ গোপীনাথপুর গ্রামে আরমানকে গ্রেফতার করতে যায় পুলিশ। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় ডাকাত সদস্যরা। একপর্যায়ে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। গুলিতে ঘটনাস্থলেই আরমান মারা যায়। আহত হন পুলিশের এএসআই ইসমাইল ও কনেস্টেবল আবদুল খালেদ।
আক্কেলপুর থানার ওসি রেজাউস সাদিক রেজা জানান, তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী একাধিক মামলার আসামি আরমান ডাকাতকে ধরতে গেলে সে তার দলবলসহ পুলিশ বাহিনীর ওপর গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশ পাল্টা ৫ রাউন্ড গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই আরমান গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়।

No comments

Powered by Blogger.