দেশে তৈরি হচ্ছে ৪১৩ ধরনের প্যারাসিটামল by ইমদাদুল হক

জ্বর, গায়ে ব্যথা বা মাথায় ঝিমুনি ভাব হলেই তাৎক্ষণিক দাওয়াই হিসেবে প্যারাসিটামল খাওয়া আমাদের দেশে এখনও নিয়মিত ঘটনাই বলা চলে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই গ্রাম-শহর নির্বিশেষে এই ওষুধটি খেয়ে থাকেন সাধারণ মানুষ। ভোক্তা চাহিদা বিবেচনায় দীর্ঘদিন ধরেই দেশে ‘প্যারাসিটামল’ নামের এই জেনারিক শ্রেণীভুক্ত ওষুধের একটি বড় বাজার গড়ে উঠেছে।
আর এই চাহিদা মেটাতে পিছিয়ে নেই দেশীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। দেশের নিবন্ধনকৃত ২৫৭টি কোম্পানির মধ্যে ১৫৭টি ওষুধ কোম্পানিই বিভিন্ন ডোজের ‘প্যারাসিটামল’ ট্যাবলেট তৈরি করে থাকে। আর বর্তমানে বাজারে আছে এসব কোম্পানির বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৪১৩টি প্যারাসিটামল ওষুধ।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র মতে, এই ১৫৭টি কোম্পানির মধ্যে বেক্সিমকো ফার্মা একাই ১২টি পৃথক ডোজের প্যারাসিটামল তৈরি করে (নাপা পেডিয়াট্রিক ড্রপ, নাপা সিরাপ, নাপা সাসপেনশন, নাপা বড়ি-৫০০এমজি, নাপা ১২৫ সাপোজিটরি, নাপা ২৫০এমজি সাপোজিটরি, নাপা ৫০০এমজি সাপোজিটরি, নাপা ৬০এমজি সাপোজিটরি, নাপা ডিটি ৫০০এমজি, নাপা এক্সট্রা, নাপাডোল, নাপাসপ্ট)।

প্রসঙ্গত, দেশে ২৫৭টি ওষুধ কোম্পানির নিবন্ধন থাকলেও এদের মধ্যে বর্তমানে সচল আছে মাত্র ১৯৪টি কোম্পানি। এসব কোম্পানির প্রায় ২৩ হাজার ওষুধ বাজারে আছে। প্রথম সারির ২০টি কোম্পানি ৮৪ শতাংশ ও ৪০টি কোম্পানি ৯৫ শতাংশ বাজার দখল করে আছে। ১৫৪টি কোম্পানির দখলে বাকি ৫ শতাংশ।

তবে বাংলাদেশে গবেষণা করে নতুন ওষুধ (জেনেরিক বা অভিন্ন শ্রেণীভুক্ত কিংবা রিসার্চ মলিকুল) তৈরির নজির নেই এসব কোম্পানির। অন্য দেশে আবিষ্কৃত ওষুধ এ দেশের ওষুধ কোম্পানিগুলো তৈরি করে বিভিন্ন বাণিজ্যিক নামে (ব্র্যান্ড নেম) বাজারজাত করছে কোম্পানিগুলো। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর সূত্র মতে, দেশের জেনেরিক ওষুধের সংখ্যা এক হাজার ২০০-এর কিছু বেশি। আর কোম্পানিগুলোর ব্র্যান্ড ওষুধের সংখ্যা ২৩ হাজারের মতো।

উল্লেখ্য, সংশ্লিষ্ট ওষুধের রাসায়নিক উপাদানের ভিত্তিতে ‘জেনারিক’ ওষুধের নামকরণ করা হয়। প্যারাসিটামল এমনই একটি জেনেরিক ওষুধ।

No comments

Powered by Blogger.