গড়াই নদীতে ডুবে কুষ্টিয়া মেডিক্যালের দুই ছাত্রের মৃত্যু

কুষ্টিয়ার গড়াই নদীতে ডুবে কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজের প্রথম বর্ষের দুই ছাত্র শাহজালাল মজুমদার রিফাত ও ফরিদুল ইসলাম মিলনের মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়া তিন ছাত্রীকে ভর্তি করা হয়েছে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে।


গতকাল শুক্রবার দুপুরে শহরের রেইনউইক বাঁধের পূর্ব পাশে গড়াই নদীতে চোরাবালিতে পড়ে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। রাত ৮টার দিকে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশ দুটি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
রিফাত কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার দেবীপুর গ্রামের শাজাহান মজুমদারের ছেলে। মিলন দিনাজপুরের বিরল উপজেলার বিরল গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতকাল দুপুর আড়াইটার দিকে প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যে কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজের ১০ শিক্ষার্থী গড়াই নদীতে ঘুরতে যান। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন ছাত্র, বাকিরা ছাত্রী। সাঁতার না জানায় কেউ কেউ হাটুপানিতে হাঁটছিলেন। হঠাৎ পায়ের নিচের মাটি সরে গেলে সবাই তলিয়ে যেতে থাকেন। তখন তাঁদের চিৎকার শুনে মাছধরা নৌকার মাঝিরা ছুটে এসে আটজনকে উদ্ধার করেন। মিলন ও রিফাত নদীতে তলিয়ে যান।
স্থানীয় লোকজন তিন ছাত্রী নুসরাত আলভী, শারমিন কাকলী ও মনামীকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
খবর পেয়ে বিকেল ৩টার দিকে কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. ইফতেখার মাহমুদের নেতৃত্বে র‌্যাব, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা নদীতে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। রাত ৮টার দিকে ডুবুরিরা নদীর তলদেশ থেকে প্রথমে রিফাত ও পরে মিলনের লাশ উদ্ধার করেন। লাশ নদীর তীরে আনা হলে সহপাঠীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নুসরাত ও শারমিন কালের কণ্ঠকে জানান, ছুটি থাকায় তাঁরা সবাই মিলে দুপুরের দিকে ঘুরতে বের হন। নদীর পাড়ে পেঁৗছানোর পর বৃষ্টি শুরু হয়। নদীতে সাঁতার কাটার ইচ্ছা হলেও কেউ সাঁতার জানেন না বলে অল্প পানিতে হাঁটার সিদ্ধান্ত নেন। হাঁটার একপর্যায়ে হঠাৎ করেই তাঁদের পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যায়।
উল্লেখ্য, ৫২ জন শিক্ষার্থী নিয়ে গত ১৪ জানুয়ারি থেকে যাত্রা শুরু হয়েছে কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজের।

No comments

Powered by Blogger.