চট্টগ্রাম থেকে বিমান উড়ছে চলছে ট্রেনও

চট্টগ্রামের সঙ্গে ঢাকা ও সিলেটসহ অন্যান্য রুটের ট্রেন চলাচল গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ স্বাভাবিক হয়েছে। এর আগে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সীতাকুণ্ড থেকে ট্রেন চলাচল করেছে। সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশে আন্তনগর মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছেড়ে যায়।


রাতে সিলেটগামী মেইল ট্রেন জালালাবাদ ও উদয়ন এবং ঢাকাগামী ঢাকা মেইল ও তূর্ণা নিশীথা চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা।
এদিকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দর আবার সচল হয়েছে। গতকাল ভোর ৫টা থেকে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান চলাচল শুরু হয়। আন্তর্জাতিক রুটের ছয়টি ও অভ্যন্তরীণ রুটের সব ফ্লাইট নিয়মিত ওঠানামা করেছে বলে বিমানবন্দর সূত্র জানিয়েছে।
টানা বর্ষণে রানওয়ে ডুবে যাওয়ায় গত মঙ্গলবার বিকেল থেকে বিমান চলাচল বন্ধ ছিল।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, রেলপথ ও যোগাযোগমন্ত্রী ধসে যাওয়া সেতু মেরামতের জন্য ১৫ দিন সময় বেঁধে দিলেও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ট্রেন চলাচলের উপযোগী করে তুলেছে। গতকাল বিকেল ৪টার পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানোর পর চট্টগ্রাম থেকে ট্রেন চলাচল প্রায় স্বাভাবিক হয়ে আসে।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার এস এম শামসুল আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, দুদিনের বেশি রেললাইন বিচ্ছিন্ন থাকতে পারে না। রেলওয়ের ইতিহাসে কখনো এমনটি হয়নি। ধসে যাওয়া রেল সেতুটি রেলওয়ের প্রকৌশলী ও সেনাবাহিনীর সহায়তায় গতকাল বিকেলের মধ্যেই মেরামত করা হয়েছে। এখন এই স্থান দিয়ে ধীরে ধীরে ট্রেন চলাচল করবে।
শামসুল আলম বলেন, সকাল থেকে সুবর্ণ এক্সপ্রেস, পাহাড়িকা ও গোধূলী এক্সপ্রেস ট্রেন সীতাকুণ্ড থেকে ছেড়ে গেছে এবং সন্ধ্যা ৬টায় মেঘনা এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে গেছে।
মঙ্গলবারের প্রবল বর্ষণে ভাটিয়ারী ও কুমিরা স্টেশনের মধ্যবর্তী স্থানে একটি রেল সেতু পাহাড়ি ঢলে ধসে যায়। এতে চট্টগ্রামের সঙ্গে রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
গত বুধবার রেলমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ক্ষতিগ্রস্ত সেতু পরিদর্শন শেষে ১৫ দিনের মধ্যে তা মেরামত করার নির্দেশ দেন। এ সময়ে চট্টগ্রামের সব ট্রেন সীতাকুণ্ড থেকে চলাচল করবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি।

No comments

Powered by Blogger.