ছোট্ট একটু পড়ার জায়গা by শারমিন নাহার

পড়ার কথা বললে প্রথমেই মনে হয়, ক্লাসের সেই গৎবাঁধা পড়ার জায়গা। তবে এ ধরনের পড়াশোনার বাইরে সাহিত্যচর্চার জন্য অথবা অবসরে ম্যাগাজিন কিংবা বইয়ের পাতা উল্টে দেখার জন্য দরকার ছোট্ট একটি জায়গা। ফ্যাশন হাউস প্রবর্তনায় রয়েছে ‘নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা’ নামে নারীদের বই পড়ার আলাদা একটা জায়গা।


এর পরিচালক শাহিদ হোসেন শামীম বলেন, ‘বই পড়ার জন্য ছিমছাম একটা পরিবেশ দেওয়ার চেষ্টা থেকেই প্রবর্তনা কিছুটা আলাদা জায়গা তৈরি করেছে। উঁচু টেবিলের সঙ্গে চেয়ার আর মেঝেতে বসার জন্য বিছানো আছে কাঁথা আর কুশন। নিচু জায়গায় বসার জন্য আছে নিচু টেবিল। সাহিত্যচর্চাটা যেন নান্দনিক পরিবেশে হয়, তাই এমন ব্যবস্থা।’
রেডিয়েন্ট ইন্টেরিয়র অব ডিজাইনের পরিচালক গুলশান নাসরিন চৌধুরী বলেন, ঘরের একটা কোনা নির্বাচন করে পড়ার ব্যবস্থা করা যায়। শোবার ঘরে পড়ার ব্যবস্থা করতে অনেকেই শোবার ঘরের সঙ্গের বারান্দাকে মূল ঘরের মধ্যে নিয়ে আসেন। আর জানালার পুরোটা জায়গাজুড়েই থাই গ্লাস ব্যবহার করে থাকেন। চাইলে রকিং চেয়ার আর পাশে বই রাখার ছোট কোনো তাক রাখতে পারেন। আবার অনেকেই চান, কিছুটা নিচু জায়গায় পড়ার ব্যবস্থা করতে। তবে নিচু জায়গায় পড়তে চাইলে মেঝেতে শতরঞ্জি পেতে তার ওপরে কয়েকটা কুশন দেওয়া যায়। পাশে রাখা যায় মাটির পানির পাত্র, আর তাতে রাখতে পারেন ভাসমান ফুল ও মোমবাতি। তবে রাতে পড়তে হলে আলোর ব্যবস্থার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত বলে মনে করেন গুলশান নাসরিন চৌধুরী। যেকোনো ল্যাম্পশেডের চেয়ে ওপর থেকে ঝোলানো আলোর ব্যবস্থা করাই ভালো। আর চারপাশে সবুজের ব্যবস্থা থাকলে তো খুবই ভালো। পড়ার জায়গাটার পাশে পর্দা লাগানোর ব্যবস্থা থাকলে হালকা রঙের পর্দা লাগানো যায়। আর না থাকলে বড় এবং চওড়া দেয়ালে লম্বাটে পেইন্টিং ব্যবহার করা যায়।
জাতীয় গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের সহকারী লাইব্রেরিয়ান আসিফ মেহতাব বলেন, ‘পড়ার জায়গায় আলোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকতে হবে। আসবাব হবে খুবই সাধারণ। চেয়ার-টেবিলের পাশে বই রাখার তাক থাকলেই ভালো। আবার পড়ে কিছু টুকে রাখতে কাগজ-কলম হাতের কাছে রাখা উচিত। সর্বোপরি পড়ার পরিবেশ হবে গোছানো এবং পরিচ্ছন্ন।’
মডেল: সজনী
কৃতজ্ঞতা: গুলশান নাসরিন চৌধুরী

No comments

Powered by Blogger.