কালান্তরের কড়চা-ছেলের হাতের মোয়াও চাইলেই পাওয়া যায় না by আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী

লন্ডনে এখন আমরা একেবারে বরফের সমুদ্রে ডুবে আছি। ফেব্রুয়ারি মাস শুরু হওয়ার আগেই হাড় কাঁপানো শীত ও ঠাণ্ডা বাতাস শুরু হয়েছিল। তারপর হঠাৎ শুরু বরফপাত। রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি, চারদিকে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট আর কিছুই চেনা যায় না। মনে হলো, উত্তর মেরুর কোনো বরফের ঘরে বসে আছি।


বেশ কিছুকাল ধরে লন্ডন শহরজুড়ে এতটা বরফপাত হয়নি। আচমকা এই বরফপাতে একটু হকচকিয়ে গেছি। সারা দিন গৃহবন্দি ছিলাম, ঘরে বসে সানডে টাইমস পাই। এই রবিবারে তাদের ডেলিভারিম্যানও কাগজ দেয়নি।
গৃহবন্দি অবস্থায় আর কী করব! তাই লন্ডন থেকে প্রকাশিত এ সপ্তাহের বাংলা পত্রিকাগুলোর পাতা উল্টাচ্ছিলাম। হঠাৎ চোখে পড়ল, ঢাকায় ৩১ জানুয়ারির ডেটলাইনে একটি বিশাল খবর। শিরোনাম হচ্ছে, 'শ্বাস নেওয়ার সময় থাকতে ক্ষমতা ছাড়ুন।' ঢাকার বিশাল গণমিছিল থেকে শেখ হাসিনার প্রতি এই আহ্বান জানিয়েছেন খালেদা জিয়া। উৎসুক হয়ে দেশনেত্রীর ভাষণটি পড়লাম।
আমি বিএনপি-রাজনীতির সমর্থক নই। তবু তাদের খবরাখবর নিয়মিত পড়ি। যাচাই করি, তাদের রাজনীতিতে গণতান্ত্রিক সুস্থতা ফিরে এসেছে কি না! তা ফিরে এলে দেশের এবং দেশের মানুষের জন্য হবে শুভ সংবাদ। কিন্তু ৩০ জানুয়ারির গণমিছিলে দেওয়া খালেদা জিয়ার উদ্দীপ্ত ভাষণের বিবরণ সংবাদপত্রে পাঠ করে মনে হলো না, বিএনপি-রাজনীতিতে গণতান্ত্রিক সুস্থতা ও স্বাভাবিকতা ফিরে এসেছে। অবশ্য কোনোকালেই এই সুস্থতা বিএনপির রাজনীতিতে ছিল না। কিন্তু এতকাল ধরে কখনো ক্ষমতায়, কখনো বিরোধী দল হিসেবে রাজপথের রাজনীতিতে থাকার পর বিএনপি সামরিক কালচারের রাজনীতির লেগাসি ত্যাগ করে গণতান্ত্রিক রাজনীতির স্বাভাবিক ও সুস্থ ধারায় ফিরে আসবে- এটা আমার প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু বিএনপি শুধু আমার নয়, দেশবাসীরও এই প্রত্যাশা পূর্ণ করেনি।
ক্ষমতা ছেলের হাতের মোয়া নয় যে চাইলেই তা দিয়ে দিতে হবে। একটি বাচ্চা ছেলেও চাইলেই মোয়া কাউকে দেয় না। বিএনপি ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার রাজনীতিতে বিশ্বাসী। তাই বর্তমান হাসিনা সরকারকে তাদের ক্ষমতায় থাকার মেয়াদ পূর্তির আগেই তা ছেড়ে দিতে বলছে। এটা কোনো সুস্থ দাবি নয়। মামাবাড়ির আবদার। এ আবদার পূরণ না হলে তারা কী করবে? খালেদা জিয়া বলেছেন, তিনি গণ-অভ্যুত্থান ঘটিয়ে এই সরকারের পতন ঘটাবেন। খুবই ভালো কথা। গণ-অভ্যুত্থান ঘটানোর ক্ষমতা যদি বিএনপির থাকে, তাহলে তা ঘটিয়ে তারা দেশের মানুষকে দেখান না তাঁদের হিম্মত কতটা? এত হুমকি-ধমকির দরকারটা কী? গোদা পায়ের অধিকারী যে স্বামী রোজই স্ত্রীকে লাথি মারার ভয় দেখায়, একদিন ধরা পড়ে, তার পায়ে লাথি মারার কোনো ক্ষমতাই নেই।
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ক্ষমতায় যাওয়া এবং ক্ষমতা ছাড়ার একটা তরিকত আছে। তরিকতটি হলো, নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতা গ্রহণ। যদি কোনো সরকার নির্বাচন না দিয়ে ক্ষমতায় থাকতে চায়, তাহলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করে, গণ-অভ্যুত্থান ঘটিয়ে সেই সরকারের পতন ঘটাতে হয়। একটি সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশে ক্ষমতা গ্রহণের পর আওয়ামী লীগ সরকার (বঙ্গবন্ধু সরকার) মাত্র এক বছরের মাথায় (১৯৭৩ সালে) সাধারণ নির্বাচনের ব্যবস্থা করে দেশ শাসনে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েছিল। এর দ্বিতীয় উদাহরণ কোনো দেশে নেই।
শেখ হাসিনার সরকার দু'দুবার ক্ষমতায় এসেছে। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর মেয়াদের বেশি এক দিনও ক্ষমতায় থাকেনি। শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছে। এবারও ক্ষমতায় থাকার মেয়াদ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নির্বাচন দিয়ে নির্বাচকমণ্ডলীর সম্মুখীন হওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। এ সরকারের অধীনে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাগুলোর নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাধারণ নির্বাচনও অবাধ ও সুষ্ঠুভাবেই অনুষ্ঠিত হবে।
হাসিনা সরকারের দু'দুবারের শাসনামলে কোনো নির্বাচন বা উপনির্বাচনে কারচুপি হয়েছে, তার প্রমাণ বিএনপিও দিতে পারেনি। বরং খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালে মাগুরা উপনির্বাচনে জঘন্য কারসাজি করেছিলেন এবং ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ভোটারবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠান করে সারা বিশ্বের নিন্দা ও ধিক্কার কুড়িয়েছিলেন। শেখ হাসিনা তা কখনো করেননি এবং খালেদা জিয়ার সরকারের ভোট জালিয়াতির নির্বাচনের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠানের দুর্নাম তাঁর নেই।
তার পরও খালেদা জিয়া আবদার ধরেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন করা না হলে তাঁরা নির্বাচনে যাবেন না। গণ-অভ্যুত্থান ঘটিয়ে বর্তমান সরকারের পতন ঘটাবেন এবং ক্ষমতায় যাবেন। এটা কুঁজোর চিত হয়ে শুয়ে চাঁদ দেখার শখ করার মতো। খালেদা জিয়া নিশ্চয়ই ভুলে যাননি, শেখ হাসিনা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছেন এবং নির্বাচনের মাধ্যমেই নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় শান্তিপূর্ণভাবে একবার ক্ষমতা ছেড়েছেন। তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে কখনো গণ-অভ্যুত্থান ঘটেনি।
গণ-অভ্যুত্থান ঘটেছে খালেদা জিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে। ১৯৯৬ সালে প্রচণ্ড গণ-অভ্যুত্থানে তিনি এবং তাঁর মন্ত্রীরা ঘর ছেড়ে বের হতে পারেননি। সংসদের পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা ছেড়ে তাঁদের পালাতে হয়েছিল। সুতরাং গণ-অভ্যুত্থান সম্পর্কে বড় গলায় কথা বলার সুযোগ ও অধিকার কি তাঁর আছে? তিনি যখন বলেন, 'আমরা সেনা-অভ্যুত্থানে নয়, গণ-অভ্যুত্থানে বিশ্বাসী এবং গণ-অভ্যুত্থানেই এ সরকারের পতন ঘটাব', তখন বাংলাদেশের একটি অবুঝ বালকও সম্ভবত হাসে। নিশ্চয়ই ভাবে এটা প্রলাপোক্তি।
নইলে সেনানিবাসে যে দলের জন্ম, সেনানিবাসে বসে যিনি এতকাল অবৈধভাবে রাজনীতি করেছেন, সেনা-অভ্যুত্থান ঘটিয়ে যে দলের নেতার প্রথম ক্ষমতা দখল, সেই নেতার পত্নী এবং বর্তমান নেত্রীর মুখে 'সেনা-অভ্যুত্থানে বিশ্বাসী নই' কথাটি আদৌ মানায় কি? এই সেদিনও তিনি চট্টগ্রামের জনসভায় দাঁড়িয়ে তাঁর বক্তৃতায় সেনাবাহিনীকে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে উসকে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন এবং তার দুদিন পরই ব্যর্থ অভ্যুত্থানের চক্রান্ত ধরা পড়েছে। এখন খালেদা জিয়া বলছেন, 'ঠাকুর ঘরে কে, আমি কলা খাই না।'
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার অধীনে আগামী আরো দু'একটি নির্বাচন হলে আপত্তি করার কিছু ছিল না। কিন্তু শেখ হাসিনাকে ঠেকে শিখতে হয়েছে। ১৯৯৬ সালে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের দাবিতে মাঠে নেমেছিল, বিএনপি নেত্রীর জালিয়াতির নির্বাচনের বাড়াবাড়িতে ত্যক্তবিরক্ত হয়ে এবং দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের আশায়। আন্দোলন সফল হয় এবং ১৯৯৬ সালে একটি মোটামুটি সুষ্ঠু নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ২০০১ সালের নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষপাতিত্ব ছিল। কিন্তু ব্যবস্থাটিকে কলুষিত করা সম্ভব হয়নি। এরপরই শুরু হয় গোটা ব্যবস্থাটিকে কলুষিত করার অভিনব চক্রান্ত।
বিএনপি ক্ষমতায় থাকতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে তাঁবেদার সরকার ব্যবস্থা করার চেষ্টা অত্যন্ত ধূর্ততার সঙ্গে চালাতে শুরু করে। এ ব্যাপারে বিএনপির সিদ্ধিদাতা গণেশ হয়ে দাঁড়ান ধূর্তকুল চূড়ামণি ব্যারিস্টার মওদুদ। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হবেন যে প্রধান বিচারপতি, তিনি যাতে হাতের মুঠোর লোক হন, সে জন্য বিচারপতিদের অবসর গ্রহণের বয়স বাড়িয়ে-কমিয়ে তাঁরা যা করতে শুরু করেন, তা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার সব 'সতীত্ব' তখনই নষ্ট করে বিএনপি-জামায়াত জোট এবং হাওয়া ভবন।
২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে খালেদা জিয়া এবং তাঁর পুত্রধন তারেক রহমান যেভাবে তাঁদের হাতের পুতুল ব্যক্তিত্বহীন রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিনের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে নির্লজ্জভাবে কলুষিত করেন, তারপরে এ ব্যবস্থার অধীনে আবার নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা সুস্থ মাথায় ভাবা চলে কি? সাবেক বুরোক্র্যাট এবং চিন্তাবিদ আকবর আলি খানকে আমি শ্রদ্ধা করি। তিনিও এখন বলছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার দরকার। ইয়াজউদ্দিনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারে তিনি তো একজন প্রভাবশালী সদস্য ছিলেন। তাঁকে এবং আরো কয়েকজন সদস্যকে তখন পদত্যাগ করতে হয়েছিল কেন?
ড. কামাল হোসেনের মতো বাংলাদেশে গণতন্ত্রের দুই নম্বর মানসপুত্রও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তনের জোর দাবি তুলেছেন। (জনান্তিকে বলে রাখি, তার আগে 'গণতন্ত্রের প্রথম মানসপুত্র পাকিস্তানে সামরিক অর্ডিন্যান্স দ্বারা সংবিধান প্রণয়নের দাবি তুলেছিলেন)। অথচ এই ড. কামাল হোসেনই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার সব সাংবিধানিক বিধিব্যবস্থা ভেঙে-গুঁড়িয়ে দিয়ে অবৈধভাবে রাষ্ট্রপতির পদে থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারেরও প্রধানের পদ দখল করে ইয়াজউদ্দিন যখন অবৈধ ও সংবিধানবিরোধী কার্যকলাপ শুরু করেন, তখন তাঁকে ইমপিচমেন্টযোগ্য অপরাধ ঘোষণা করেছিলেন।
পরবর্তীকালে ধরা পড়েছে, ইয়াজউদ্দিনের এই ইমপিচমেন্টতুল্য অপরাধের পেছনে কলকাঠি নেড়েছেন ক্যান্টনমেন্টের বাড়িতে বসে খালেদা জিয়া এবং হাওয়া ভবনে বসে তারেক জিয়া।
নামে মাত্র ক্ষমতায় ছিল অথর্ব ইয়াজউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। আসলে তা ছিল বিএনপির তাঁবেদার সরকার। বিএনপির এই অবৈধ তাঁবেদার সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটিয়ে দিয়ে মইন-ফখরুদ্দীন (ড. ইউনূসের আশীর্বাদ ও সমর্থন নিয়ে) জুটি দেশে সেনা তাঁবেদার তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করেন। অর্থাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাটি বিএনপির হাতে ধর্ষিত হওয়ার পর আবার মইন-ফখরুদ্দীন জোটের হাতে ধর্ষিত হয়।
এই ধর্ষিত ও কলুষিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাটি পুনঃপ্রবর্তনের দাবিতে খালেদা জিয়া আন্দোলনে নেমেছেন এবং গণ-অভ্যুত্থান ঘটানোর হুমকি দিচ্ছেন। তাঁর হয়তো মনের আশা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাটি পুনঃপ্রবর্তিত হলে তিনি আবার একজন সাহাবুদ্দীন অথবা ইয়াজউদ্দিনকে পাবেন এবং আবার ২০০১ ও ২০০৬ সালের খেলা খেলতে পারবেন। একই সঙ্গে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়াটিও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুর আন্দোলন দ্বারা নস্যাৎ করে দেওয়া যাবে। আসলে ওই বিচার প্রক্রিয়া নস্যাৎ করাই তাদের আসল লক্ষ্য।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার দাবিতে দেশে কোনো গণ-অভ্যুত্থান ঘটবে তা আমি মনে করি না। তা বিএনপির গণমিছিলে যত জনসমাগমই ঘটুক না কেন। একটি ব্যর্থ ও কলুষিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় হাসিনা সরকারের ফিরে যাওয়া উচিত হবে না। তবে বিএনপির চক্রান্তের খেলা ভণ্ডুল করার জন্য কোনো ধরনের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যবস্থায় বর্তমান সরকার যদি আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেয়, তাহলে তা অন্য কথা।
ঢাকার গণমিছিলে খালেদা জিয়া অনেক হাস্যকর কথা বলেছেন। তার সবটা নিয়ে একটি নিবন্ধে আলোচনার সুযোগ নেই। কেবল তাঁর একটি কথার উল্লেখ করছি। জেনারেল এরশাদ তাঁর জাতীয় পার্টিকে নিয়ে আওয়ামী লীগের মহাজোটে থাকায় শেখ হাসিনার উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেছেন, 'ওনার সঙ্গে আপনারা জোট করেছেন। খুনিকে সঙ্গে নিয়ে আপনারা আবার খুনের রাজনীতি করছেন।' ম্যাডামের ভাষণ শুনে হাসব, না কাঁদব? এই জেনারেল এরশাদ দুদিন আগে খালেদা জিয়ার জোটে তাঁর পাশেই ছিলেন আর বর্তমানেও একাত্তরের ঘাতক নিজামী ও দেলাওয়ার হোসাইন সাইদীকে সঙ্গে নিয়ে যিনি রাজনীতি করছেন, তিনি কোন মুখে বড় কথা বলেন?

লন্ডন, ৬ ফেব্রুয়ারি, সোমবার ২০১২

No comments

Powered by Blogger.