পাকিস্তান কাশ্মীর যুদ্ধের ভার বহনে সমর্থ নয়: গিলানি

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি বলেছেন, সংলাপ ও কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত। একুশ শতকের এ পৃথিবীতে পাকিস্তান কাশ্মীর যুদ্ধের ভার বহন করতে পারবে না। গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ে ‘কাশ্মীর সংহতি দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।


কাশ্মীর সংহতি দিবসে পাকিস্তানে সরকারিভাবে ছুটি পালনের পাশাপাশি দেশজুড়ে সমাবেশ ও শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। এসব সমাবেশে কাশ্মীরিদের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারের দাবির প্রতি সমর্থন জানানো হয়।
এ ছাড়া পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে শত শত মানুষ মানববন্ধন ও মসজিদে মসজিদে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করে। কাশ্মীরের স্বাধীনতার দাবিতে পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে রাস্তার ধারে ব্যানার টানানো হয়। ১৯৯০ সাল থেকে পাকিস্তানে কাশ্মীর সংহতি দিবস পালন করা হচ্ছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কাশ্মীর ইস্যুকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত চারটি যুদ্ধ হয়েছে। এটি এখনো এ অঞ্চলের একটি জ্বলন্ত সমস্যা হিসেবে রয়ে গেছে। কিন্তু একুশ শতকে এসে আমাদের যুদ্ধের খরচ জোগানোর সামর্থ্য নেই।’
ইউসুফ রাজা গিলানি বলেন, ‘আমরা এ বিষয়টি সংলাপ, কূটনীতি, দূরদর্শী নীতি ও জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে সমাধান করতে চাই।’ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাশ্মীরের বাসিন্দাদের নৈতিক, রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সমর্থন দিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে পাকিস্তান প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সব রাজনৈতিক দলসহ পুরো জাতি কাশ্মীর ইস্যুকে ঘিরে একজোট হয়েছে।
গিলানি বলেন, দায়িত্বশীল জাতি ও পারমাণবিক শক্তির দায়িত্বপূর্ণ ব্যবহারকারী দেশ হিসেবে পাকিস্তানকে অবশ্যই দায়িত্বশীল নীতি গ্রহণ করতে হবে। পাকিস্তানের গৃহীত নীতি হবে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে এবং জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে। কোনো একক ব্যক্তি পাকিস্তানের নীতি গ্রহণ করতে পারবে না। পিটিআই।
আফগানিস্তানে শান্তি-প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করতে কাতারে গিলানি
আফগান শান্তি-প্রচেষ্টার বিষয়ে আলোচনা করতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি সোমবার কাতারে গেছেন। কাতারে তালেবান ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রাথমিক যোগাযোগ শুরু হয়েছে। কাতারের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে গিলানির বরাত দিয়ে তাঁর কার্যালয় জানায়, ‘প্রধানমন্ত্রী একটি স্থিতিশীল আফগানিস্তান প্রতিষ্ঠায় আফগান সরকার গৃহীত পদক্ষেপের প্রতি তাঁর সরকারের সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
ইসলামাবাদ গিলানির তিন দিনব্যাপী এই কাতার সফরকে উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার ও বাণিজ্য বৃদ্ধির একটি সুযোগ হিসেবে দেখছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুল বাসিত বলেন, ‘তিনি (গিলানি) অন্যান্যের মধ্যে কাতারের আমির শেখ হামাদ বিন খলিফা আল-থানি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হামাদ বিন জসিম বিন জাবর আল-থানির সঙ্গেও দেখা করবেন। এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.