‘টেকসই ফলাফল’ দেখানোর আহ্বান জানালেন রানি

অস্ট্রেলিয়ার পার্থে আয়োজিত শীর্ষ সম্মেলনে সদস্য দেশগুলোর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি কঠোরভাবে মোকাবিলার কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন কমনওয়েলথ রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানেরা। সম্মেলনে আলোচ্যসূচিতে আরও রয়েছে খাদ্যনিরাপত্তা, অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও ব্রিটিশ রাজসিংহাসনের উত্তরাধিকার স্থির করার নিয়মের পরিবর্তনও।
৫৪ জাতির কমনওয়েলথ সারা বিশ্বের অন্তত ২০০ কোটি মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে। এবারের আয়োজন কমনওয়েলথ সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের ২১তম সম্মেলন।
গতকাল সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে যুক্তরাজ্যের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ পার্থ কনভেনশন সেন্টারে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। এ সময় রানি বলেন, ‘কমনওয়েলথের নতুন স্পন্দন সৃষ্টির প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এ সম্মেলনে যোগ দিতে পেরে আমি আনন্দিত।’ তিনি ‘টেকসই ফলাফল’ দেখানোর জন্য নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ কমনওয়েলথের আলংকারিক প্রধান এবং যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডাসহ ১৬টি দেশের সাংবিধানিক রানি।
উদ্বোধনী ভাষণে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড বলেন, ‘বিশ্ব বদলে গেছে। একটি প্রাজ্ঞ প্রতিষ্ঠানও নিজেকে বদলায়।’
সম্মেলনের আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে আরও রয়েছে, অনেক সদস্য দেশের সমকামিতাবিরোধী আইন এবং তরুণীদের জোরপূর্বক বিয়ে।
শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে কমনওয়েলথভুক্ত অধিকাংশ দেশের নেতারা শুক্রবারই পার্থে পৌঁছেন। তবে এএফপির এক খবরে বলা হয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন না। নয়াদিল্লি এর কারণ জানায়নি। উন্নত অর্থনীতির জি-২০-এর পাঁচটি দেশ কমনওয়েলথভুক্ত হলেও পরিবর্তিত বিশ্বে নীতিনির্ধারণে এ আন্তর্জাতিক জোটটির ভূমিকা কমে এসেছে।
গতকাল এ সম্মেলনস্থলের পাশের এলাকায় অন্তত দেড় হাজার মানবাধিকার ও পুঁজিবাদবিরোধী কর্মী জড়ো হয়ে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় অশ্বারোহী পুলিশ টহল দেয়।

No comments

Powered by Blogger.