আবারও শ্রীলঙ্কার পরীক্ষা

একের পর এক উইকেট পড়ছে। শেষ ৪ উইকেটের পতন মাত্র ৯ রানে। তার পরও পাকিস্তান ড্রেসিংরুমের একাংশে দুশ্চিন্তার চেয়ে স্বস্তিই বেশি! কারণ? উইকেটের আচরণ। তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশন থেকেই উইকেটে যথেষ্ট টার্ন। অলআউট হওয়ার আগে পাকিস্তান পেয়ে গেছে ১৬৪ রানের লিড। এবার শ্রীলঙ্কাকে গুঁড়িয়ে দিলেই হয়!
এমন আশার সামনে দাঁড়িয়ে গেছেন থারাঙ্গা পারানাভিতানা ও কুমার সাঙ্গাকারা। ব্যাটিং-দুরূহ হয়ে পড়া উইকেটে শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় ইনিংসের পরীক্ষা দিচ্ছে এ দুজনের সৌজন্যে। ২২ রানে প্রথম উইকেট হারালেও পারানাভিতানা-সাঙ্গাকারা জুটি দিনটা পার করে দিয়েছে নির্বিঘ্নে। ৬৬ রানে অবিচ্ছিন্ন তাঁদের জুটি এরই মধ্যে পাকিস্তানের লিডটা ছেঁটে নামিয়ে এনেছে ৭৬-এ। যদিও ৪৫ ওভারে শ্রীলঙ্কার তোলা ৮৮ রানই বলে দিচ্ছে, আজ চতুর্থ দিন আরও বড় পরীক্ষার সামনে শ্রীলঙ্কা।
উইকেটের কয়েক জায়গায় ক্ষত। স্পিনাররা পাচ্ছেন বাড়তি সুবিধা। এ কারণেই শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ইনিংসের পঞ্চম ওভারেই মোহাম্মদ হাফিজকে আক্রমণে এনেছেন মিসবাহ-উল হক। শ্রীলঙ্কার পড়া একমাত্র উইকেটটিও তাঁর। এর আগে ৫ উইকেটে ৩২৪ রান তুলে ফেলা পাকিস্তানকে বেশিদূর যেতে না দেওয়ার কৃতিত্ব এককভাবে কারও নেই। শ্রীলঙ্কার সম্মিলিত চেষ্টারই ফসল। তবে পাকিস্তান যে আরও কমে গুটিয়ে যায়নি, এর কৃতিত্ব আসাদ শফিকের।
কাল মাত্র ১ রান যোগ করে ফিরে গেছেন মিসবাহ। তবে এরপর আগের দিন নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা সাঈদ আজমলকে নিয়ে ৪১ রানের জুটি গড়েন শফিক। আজমল ফিরে গেলে আদনান আকমলের সঙ্গে তাঁর জুটিটা হয় ৭০ রানের। দলীয় ৩৯৪ রানে শফিক ফিরে গেলে দ্রুতই শেষ হয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস।

No comments

Powered by Blogger.