রাজশাহীতে বছরে হত্যাসহ শিশু নির্যাতন ১৬২

রাজশাহীতে বেড়েই চলেছে শিশু নির্যাতনের ঘটনা। গত এক বছরে ছয়টি হত্যাকাণ্ডসহ শিশু নির্যাতনের ১৬২টি ঘটনা ঘটেছে যা আগের বছরের তুলনায় বেশি। শিশু অধিকার সপ্তাহ উপলক্ষে বেসরকারি সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন ফর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্টের (এসিডি) উদ্যোগে গতকাল রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। নগরীর শিরোইল এলাকায় অবস্থিত এসিডি কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, গত এক বছরে রাজশাহীতে শিশু হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ছয়টি, হত্যার চেষ্টা পাঁচটি, ধর্ষণ ৩২টি, ধর্ষণের চেষ্টা ১২টি, অপহরণ ৩৬টি, এসিড নিক্ষেপ তিনটি, আত্মহত্যা ১৭টি, যৌন হয়রানি ১১টি ও অন্যান্য নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ৩৩টি।
বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশ হওয়া খবর থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। এসব ঘটনার মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত চারটি ঘটনাও তুলে ধরা হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে গত ২০ ফেব্রুয়ারি নিজ বাড়িতে গায়ে কেরোসিন ঢেলে শরীরে আগুন ধরিয়ে দিয়ে আদিবাসী কিশোরী শিরাফিনা মার্ডির আত্মহত্যার ঘটনা। ২০১০ সালের ৪ এপ্রিল রাতে গণধর্ষণের শিকার শিরাফিনা ধর্ষণের স্মৃতি ভুলতে না পেরে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি নিজের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০ ফেব্রুয়ারি তার মৃত্যু হয়। দ্বিতীয় আলোচিত ঘটনার মধ্যে রয়েছে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে তানোরে তপন বর্মণ নামের একটি শিশুকে ধান চুরির অভিযোগে জোর করে বিষ খাইয়ে হত্যা করা। তৃতীয় ঘটনাটি হলো পারিবারিক কলহের জের ধরে পবা উপজেলার বৈশাখী নামের একটি শিশুকে শ্বাস রোধ করে হত্যা এবং চতুর্থ ঘটনাটি হলো দুর্গাপুরে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র পার্থকে জবাই করে হত্যার পর লাশ পান বরজে ফেলে রাখা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এসিডির প্রোগ্রাম ম্যানেজার এহসানুল আমিন ইমন, প্রোগ্রাম অফিসার পারভেজ আহমেদ আপেল, শিশু প্রতিনিধি তৃষা খাতুন প্রমুখ।

No comments

Powered by Blogger.