অধিনায়কত্ব চান রুনি

৫ ম্যাচে ৯ গোল। ওয়েইন রুনি উড়ছিলেন। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ইংলিশ স্ট্রাইকার মাটিতে নামলেন এর পর, মাটিতে তাঁকে নামিয়েছে আসলে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট। সেই চোট কাটিয়ে আবার মাঠে রুনি। আরও আরও গোল করতে চান। চান আরেকটি বড় স্বপ্ন পূরণ করতে। হাতে পরতে চান ইংল্যান্ড আর ম্যানইউ দলের বাহুবন্ধনী।
দেশ ও ক্লাবকে এর আগে নেতৃত্ব যে দেননি তা নয়। দোহায় ব্রাজিলের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচে ইংল্যান্ডের বাহুবন্ধনী উঠেছিল তাঁর হাতে। স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন তাঁকে সুযোগ দিয়েছেন ‘রেড ডেভিল’দের নেতৃত্ব দেওয়ার। কিন্তু এটুকুতে স্বাদ মেটেনি। বরং অধিনায়ক হওয়ার ইচ্ছাটা আরও বেড়েছে। খণ্ডকালীন নয়, ইংল্যান্ড ও ম্যানইউর পূর্ণকালীন অধিনায়ক হতে চান রুনি।
‘আমি জাতীয় দল আর ক্লাব, দুটিতেই একবার করে অধিনায়কত্ব করেছি। দুই জায়গাতেই পূর্ণকালীন অধিনায়ক হতে পারা আমার জন্য হবে বিশেষ সম্মানের’—ইংল্যান্ডের বেশ কয়েকটি পত্রিকায় রুনির এই উক্তি ছাপা হয়েছে।
অধিনায়ক এখন রুনি নন, তবে ম্যানইউকে নিয়ে ভাবনাচিন্তা কম করেন বলে মনে হয় না। বার্সেলোনাকে কীভাবে হারানো যায়, এর একটা উপায় রুনির মাথায় এসেছে।
অনেকেই বার্সেলোনাকে সময়ের অবিসংবাদিত সেরা বলে মেনে নিয়েছে। তবে কেউ কেউ আবার সেরা বলছে ম্যানইউকে। কেউ আবার বলছে, বার্সেলোনাকে আগে হারাক ম্যানইউ! সেই হারানোর পথটা কী হতে পারে? রুনির রেসিপিটা সংক্ষেপে এ রকম—বার্সেলোনাকে হারাতে খেলতে হবে বার্সার মতো।
বার্সার খেলাটা কী রকম? বেশির ভাগ মানুষ বার্সেলোনার অজেয় হয়ে ওঠার পেছনে তাদের দুর্দান্ত পাসিং ফুটবলের কথাই বলেন। রুনির কাছে বার্সেলোনার বিশ্বজয়ী হয়ে ওঠার কারণ অন্য, ‘আমার কাছে বার্সেলোনার এত ভালো খেলা আর জয় পাওয়ার কারণ তাদের দল হিসেবে রক্ষণ করার সামর্থ্য। তারা যখন বল হারায়, খুব দ্রুতই তা আবার ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। অনেক সময় তো প্রতিপক্ষের সীমানাতেই দ্রুত বল নিয়ে নেয় তারা। আক্রমণের সূচনাও হয় সেখান থেকেই।’

No comments

Powered by Blogger.