মেসি জিতলেন ফিফা ব্যালন ডি’অর

ফিফা ব্যালন ডি’অর জিতলেন লিওনেল মেসি। ভোটাভুটিতে দুই বার্সেলোনা সতীর্থ আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা ও জাভি হার্নান্দেজকে পেছনে ফেলে আর্জেন্টাইন ফুটবলার পেলেন ২০১০ সালের বর্ষসেরার স্বীকৃতি। ২০০৯ সালেও ফিফার বর্ষসেরা হয়েছিলেন ২৩ বছর বয়সী এই আর্জেন্টাইন।
গত বছর বিশ্বকাপটা ভালো না কাটলেও ক্লাব ফুটবলে দুর্দান্ত খেলেছেন মেসি। ২০০৯-১০ মৌসুমে ৫৩ ম্যাচে তাঁর গোল ৪৭টি। কেবল লিগেই ৩৪ গোল করেছেন মেসি। তাঁর ধারাবাহিক সাফল্যের এই স্বীকৃতিই এবারের ফিফা ব্যালন ডি’আর। ফিফা বর্ষসেরা ও ব্যালন ডি’অর যুক্ত হয়ে এবারই প্রথম ‘ফিফা ব্যালন ডি’অর’ নামে দেওয়া হলো পুরস্কার।
ফিফার বর্ষসেরা হওয়ার দৌড়ে কেউ কেউ অবশ্য মেসির চেয়ে এগিয়ে রেখেছিলেন আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা ও জাভি হার্নান্দেজকে। কারণ দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে দুর্দান্ত খেলেছেন তাঁরা। স্পেনের বিশ্বকাপ জয়ে রেখেছেন ভূমিকা। কিন্তু ক্লাব ফুটবলের সাফল্য দিয়ে গতবারের মতো এবারও মেসি নির্বাচিত হলেন বর্ষসেরা। মেসি ছাড়াও দুবার ফিফার বর্ষসেরা হয়েছেন ব্রাজিলের রোনালদিনহো। ফ্রান্সের জিনেদিন জিদান এবং ব্রাজিলের রোনালদো হয়েছেন তিনবার করে।
কাল জুরিখের আলোঝলমল মঞ্চে আর্জেন্টাইন মেসির সঙ্গে রাতটি ছিল ব্রাজিলের মার্তারও। বর্ষসেরা মহিলা ফুটবলার হয়েছেন তিনি। এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো মার্তা জিতলেন এই পুরস্কার। জার্মানির ফাতমায়ার বাজরামাজ এবং বির্জিত প্রিঞ্জকে হারিয়েছেন মার্তা।
স্পেনের বিশ্বকাপজয়ী কোচ ভিসেন্তে দেল বস্ক এবং বার্সেলোনার পেপ গার্দিওলাকে হারিয়ে বর্ষসেরা কোচ হয়েছেন হোসে মরিনহো। মরিনহোর এই স্বীকৃতির পেছনে আছে ইন্টার মিলানের হয়ে গত বছর ট্রেবল (চ্যাম্পিয়নস লিগ, সিরি ‘আ’ ও ইতালিয়ান কাপ) জয়ের সাফল্য। বছরের সেরা মহিলা ফুটবল কোচ হয়েছেন জার্মানির সিলভিয়া নেইদ।

No comments

Powered by Blogger.