স্বপ্ন দেখাচ্ছেন শ্যুটাররা

গুলশান শ্যুটিং কমপ্লেক্সে ঢুকতেই চোখে পড়বে দেয়ালে টাঙানো ‘অনার-বোর্ড’। সেখানে জ্বলজ্বল করছে কমনওয়েলথ গেমস ও কমনওয়েলথ শ্যুটিংয়ে সোনাজয়ীদের নাম। প্রথম দুটি নাম—আতিকুর রহমান ও আবদুস সাত্তার। ১৯৯০-এর অকল্যান্ড কমনওয়েলথ গেমসে তাঁরা দুজন দলীয় সোনা এনে দিয়েছিলেন বাংলাদেশকে। এরপর তালিকাটি বেশি বড় হয়নি। উঠেছে মাত্র ছয়জনের নাম।
তবে আসন্ন দিল্লি কমনওয়েলথ গেমসগামী শ্যুটিং দলের কারও নাম হয়তো এই বোর্ডে উঠে যেতে পারে। ১২ সদস্যের এই দল নিয়ে প্রত্যাশার জাল বুনছে শ্যুটিং ফেডারেশন। কাল ফেডারেশনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কর্মকর্তারা ছিলেন আত্মবিশ্বাসী। গত এসএ গেমস ও কমনওয়েলথ শ্যুটিংয়ে সোনাজয়ী শারমিন আক্তার (রত্না), সাদিয়া সুলতানা, আসিফ হোসেনরা বলছেন, ‘এবার আমরা ভালো করতে পারি।’
বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ) পরশু একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। সেখানে কমনওয়েলথে সোনা জিতলে বিওএর পক্ষ থেকে ১০ লাখ টাকা দেওয়ার ঘোষণা এসেছে। শ্যুটিং ফেডারেশনও কাল জানাল, কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জিতলে ১০ লাখ টাকা দেবে ফেডারেশন।
সবচেয়ে বেশি চারবার কমনওয়েলথ গেমসে খেলেছেন সাবরিনা সুলতানা। তাঁর আশাবাদ এবার একটু বেশি, ‘এবার আমাদের দলটা ভালো অবস্থায় আছে। অনুশীলনের স্কোরটা যদি ধরে রাখতে পারি, দুটো সোনা আসতে পারে।’ সাবরিনার আশাবাদের ভিত্তি—শারমিন আক্তার রত্না, সাদিয়া সুলতানাদের স্কোর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমীহ পাওয়ার মতোই।
১০ মিটার এয়ার রাইফেলে ২০০২ সালের ম্যানচেস্টার কমনওয়েলথে সোনা জিতেছিলেন আসিফ। মাঝে খারাপ সময় গেলেও আসিফের ক্ষমতা আছে এমন প্রতিযোগিতায় ভালো করার। যেহেতু আসিফের স্কোরটা ভালো হচ্ছে, তাই তাঁকে নিয়ে আশার কথাই বলছেন ফেডারেশন কর্তারা।
ইসতিয়াক আহমেদ যেমন বললেন, ‘আসিফ এমন এক শ্যুটার, কখন কী করে, বোঝা কঠিন। ওর ভালো করার ক্ষমতা আছে। পুরস্কারের ১০ লাখ টাকার ঘোষণার সঙ্গে ব্যক্তিগত পুরস্কারও তাঁকে দেব বলেছি। সোনা জিতলে আসিফকে একটা গাড়ি কিনে দেওয়ার কথা ভাবছি।’
গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পতাকা বহন করার কথা ছিল শারমিনের। কিন্তু শারমিন এই দায়িত্বটা নিতে চান না, ‘ভয় হয়, যদি পতাকার সম্মান না রাখতে পারি। অলিম্পিকে সোনা জিতলেই পতাকা বইব।’ কমনওয়েলথে সেই দায়িত্বটা পাচ্ছেন আসিফ।

No comments

Powered by Blogger.