উৎপাদনশীলতার জন্য চাই শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্ক

ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টি বলেছেন, বাংলাদেশের শিল্প-কারখানায় উন্নত কর্মপরিবেশ সৃষ্টির জন্য সরকার, শ্রমিক ও মালিকপক্ষের সমন্বয়ে ত্রিপক্ষীয় কমিটি গঠন করে আলোচনা করতে হবে। তিনি বাংলাদেশের শিল্প খাতের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সৌহার্দ্যপূর্ণ শ্রমিক-মালিক সম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
গতকাল সোমবার শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়ার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মরিয়ার্টি এসব কথা বলেন।
শিল্প মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এই বৈঠকে শিল্পসচিব কে এইচ মাসুদ সিদ্দিকী ও মার্কিন দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে শিল্পমন্ত্রী বলেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের (বিএসইসি) কমপক্ষে দুটি কোম্পানির শেয়ার বাজারে আসবে। শিল্প মন্ত্রণালয় ্রইতিমধ্যে এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছে। এ ছাড়া পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন কোম্পানির আরও কিছু শেয়ার ছাড়া হতে পারে।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে জাতীয় শিল্পনীতি, ২০১০-এর বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়া সৌহার্দ্যপূর্ণ শ্রমপরিবেশ, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন, বিশেষায়িত শিল্পাঞ্চলে বিনিয়োগ, হাইটেক শিল্পপার্ক স্থাপনসহ অন্যান্য বিষয় আলোচনায় স্থান পায়।
দিলীপ বড়ুয়া বলেন, রাষ্ট্রদূত ইপিজেড ও অর্থনৈতিক এলাকার পার্থক্য সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। এ ব্যাপারে তাঁকে বলা হয়েছে, ইপিজেডে কেবল বিদেশিরা বিনিয়োগ করতে পারেন। এমনকি এখানে উৎপাদিত পণ্য রপ্তানি করা যায়, স্থানীয় বাজারে বিক্রি করা যায় না। কিন্তু নতুন অর্থনৈতিক এলাকায় দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সমান সুবিধা পাবেন।
শিল্পমন্ত্রী আরও জানান, বৈঠকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বর্তমান সরকারের প্রণীত জাতীয় শিল্পনীতি, ২০১০-এর প্রশংসা করেন।
সরকার শিল্পাঞ্চলে বিদ্যুতের ঘাটতি মেটাতে চট্টগ্রাম ও খুলনায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করবে বলে তিনি রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেছেন।

No comments

Powered by Blogger.