গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে, বিপাকে ভারতের সেনা কর্মকর্তা

ভারতের একটি আদালত সে দেশের একজন সেনা কর্মকর্তাকে তাঁর আফগান স্ত্রীকে ভরণপোষণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ওই সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি আগের বিয়ের কথা গোপন রেখে ওই আফগান নারীকে বিয়ে করেন এবং এখন তাঁকে ভরণপোষণের খরচ দিচ্ছেন না।
নয়াদিল্লির আদালত বলেছেন, সাবরা আহমাদজাই নামের ওই আফগান নারী ভারতের সেনাবাহিনীর চিকিত্সক মেজর চন্দ্রশেখর পঁতের বিরুদ্ধে যে দুই বিয়ের অভিযোগ এনেছেন, এর ভিত্তি রয়েছে। আদালত ভরণপোষণ বাবদ আফগান স্ত্রীকে মাসিক আট হাজার রুপি (১৬৯ ডলার) করে দেওয়ার জন্য চন্দ্রশেখরকে নির্দেশ দিয়েছেন।
সাবরা আহমাদজাই মেজর চন্দ্রশেখরের সঙ্গে তাঁর বিয়ের একটি ভিডিওচিত্র আদালতে উপস্থাপন করেন। তবে চন্দ্রশেখর এই বিয়ের কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ওই ভিডিওতে সূক্ষ্ম জালিয়াতি করা হয়েছে।
দিল্লির আদালতের এ রায় অন্তর্বর্তীকালীন। চূড়ান্ত রায় এখনো ঘোষণা করা হয়নি। সাবরা আহমাদজাই বলেন, কাবুলের একটি হাসপাতালে তিনি দোভাষী হিসেবে কাজ করতেন। সেখানেই মেজর চন্দ্রশেখরের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাত্। বিয়ের পর তাঁরা একসঙ্গে মাত্র ১৫ দিন ছিলেন। এরপর তাঁর স্বামী ভারতে চলে আসেন। তিনি তাঁর বাবা-মাসহ অন্যদের নিয়ে আবার আফগানিস্তানে ফেরত যাওয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন। কিন্তু ভারতে আসার ছয় মাসের মধ্যে মাত্র তিনবার তিনি টেলিফোন করেন। শেষবারের ফোনে চন্দ্রশেখর বলেন, ‘সাবরা, তোমার বিয়ের বয়স আছে। তুমি আবারও বিয়ে করতে পার। আমি আগেই একটি বিয়ে করেছি। সেই ঘরে আমার দুই সন্তান রয়েছে।’

No comments

Powered by Blogger.