যাদের কারণে ঘুচল অপবাদ... by অজয় দাশগুপ্ত

১৯৭১ সালে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়েছিল একটি অতি দরিদ্র দেশ হিসেবে। নুন আনতে পান্তা ফুরায়_ এমনটিই ছিল দেশের অবস্থা। চাল-ডাল-ভোজ্যতেল-জ্বালানি তেল থেকে শুরু করে আলপিন-টেলিভিশন-বেতার যন্ত্র-গাড়ি-কাপড় সবকিছুতেই পরনির্ভর। এই পরনির্ভরতা কেবল পণ্যে নয়, সে পণ্য আমদানি করতেও যে ডলার-পাউন্ড দরকার সেটার জোগানেও ধার-কর্জ করতে হতো। বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এবং যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ব্রিটেনসহ কিছু বিদেশি সূত্র থেকে আসত এই অর্থ। পাট ছাড়া রফতানি করার মতো পণ্য ছিল না। দেশটি শিক্ষায় ছিল পিছিয়ে। ১০-১২ শতাংশের বেশি লোকের ভালো করে লেখা ও পড়া জানা ছিল না। এমন দেশটি বিশ্বের বুকে টিকে থাকবে, সেটা নিয়ে সংশয় ছিল অনেকের। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার বাংলাদেশকে আখ্যায়িত করেছিলেন 'বাস্কেট কেস' হিসেবে। বিশ্বব্যাংকের কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ বললেন, এই দেশটি যদি উন্নতির সিঁড়িতে উঠতে পারে তাহলে বিশ্বের সব দেশের পক্ষেই উন্নয়ন সম্ভব। ভাবখানা ছিল এমন যে, 'ওই ছেলে ম্যাট্রিক পাস করলে গরু-ছাগলও পাস করবে।'
কিন্তু শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে বাংলাদেশ কেবল টিকে যায়নি, উন্নতির সিঁড়িতেও উঠে পড়েছে। কীভাবে এই অসম্ভব সম্ভব হলো, সেটা নিয়ে একাধিক মত থাকতে পারে। তবে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর সবাই স্বীকার করে নিচ্ছে_ তৈরি পোশাকশিল্পের উত্থান এবং বিদেশে কর্মী প্রেরণ। কেউ কেউ ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ এবং এনজিও নামের প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকাণ্ডকেও এর সঙ্গে যুক্ত করতে চান। হাল আমলে শিক্ষার প্রসারের প্রসঙ্গটিও আলোচনায় আসছে। বর্তমানে প্রায় পাঁচ কোটি ছাত্রছাত্রী স্কুলে পড়ে এবং তাদের মধ্যে ছাত্র ও ছাত্রীর অনুপাত সমানে সমান_ এ তথ্য বিশ্বের নানা দেশের পণ্ডিতদের বাংলাদেশকে নিয়ে নতুন করে ভাবতে শেখাচ্ছে।
এ লেখার বিষয় প্রবাসে বাংলাদেশিদের কাজ নিয়ে যাওয়া। একটি আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রশ্ন উঠেছিল, যে দেশের ৮০ থেকে ৯০ লাখ লোক বিভিন্ন দেশে কাজ করে সেখানের সংবাদপত্র-বেতার-টেলিভিশনে কেন এদের বিষয়টি তেমন ঠাঁই পায় না? নাটক-সাহিত্যেও কী প্রতিফলন দেখি? আশির দশকে কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন লিখেছিলেন 'স্বাধীনতা' নামের উপন্যাস। তাতে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার প্রতিফলন যেমন ছিল, তেমনি ইউরোপের একটি উন্নত দেশে অতি দরিদ্র একটি দেশ থেকে যে শিক্ষিত তরুণরা ভাগ্য ফেরাতে গিয়েছিল তাদের দুঃখ-কষ্ট-যন্ত্রণাও চমৎকার দক্ষতায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল। সে সময়ে আমার পরিচিত একজনের কথা জানি, যিনি জার্মানিতে কাজ নিয়েছিলেন 'ওসি' হিসেবে। ওসি মানে ওনিয়ন কাটার_ সোজা কথায় হোটেলে পেঁয়াজ ছোলা। তার আরেক বাংলাদেশি সঙ্গী ছিলেন 'ডিসি'_ ডিশ ক্লিনার। বাংলাদেশের তরুণরা এ ধরনের কাজে কতটা গ্গ্নানিবোধ করেছে সেটা এখানে আলোচনার বিষয় নয়। আমার ওই পরিচিত ব্যক্তি বছর দুয়েকের মধ্যেই আশির দশকের মাঝামাঝি দুই লাখ টাকা পরিবারের সদস্যদের কাছে পাঠান। সে সময়ের টাকার দামে দুই লাখ টাকার ক্রয়ক্ষমতা ছিল এখনকার তুলনায় অন্তত ৮-১০ গুণ। ওই ব্যক্তি দেশে ফিরে তারই পাঠানো টাকায় কিছু একটা করার জন্য যখন মনস্থির করলেন, তখন জানতে পারলেন_ পরিবারের হাতে আর কোনো টাকা নেই। সব খরচ হয়ে গেছে পরিবারের সবার জন্য জুতা-জামা-ক্যামেরা-রঙিন টিভি এসব কিনতে। সে সময়েই অনেক পরিবার বিদেশ থেকে পাঠানো টাকায় জমি কিনেছে। ফ্ল্যাট বাড়ি বুকিংয়ের যুগটাও তখন থেকেই শুরু। 'ঘটি-বাটি' বিক্রি করে যারা দেশের বাইরে গিয়ে জীবনে প্রথম 'টাকার বান্ডিল' দেখেছে, তারা প্রথমেই এক খণ্ড জমি কিনতে চাইবে, এটাই স্বাভাবিক। আশি-নব্বইয়ের দশকে এ নিয়ে সমালোচনা ছিল_ কেন প্রবাসীরা বিলাসদ্রব্য ও জমি কেনায় টাকা ওড়াচ্ছে; কিন্তু উৎপাদনশীল খাতে ব্যয় করছে না। আমার ধারণা_ বিষয়টি অর্থনীতির তত্ত্ব দিয়ে ঠিক বোঝানো যাবে না। যার স্থাবর সম্পত্তি বলতে কিছু ছিল না বা সামান্য ছিল_ সেদিকেই প্রথম নজর পড়বে। প্রথম পর্যায়টি পার হয়ে এসেছি আমরা, এখন সময় এসেছে উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগের।
প্রবাসে বাংলাদেশি_ এ বিষয়টি নিয়ে গবেষকরা কাজ করছেন। অর্থনীতিবিদরা ভাবছেন। সরকার একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছে। এই যে সৌদি আরবে কাজের সুযোগ নতুন করে মিলল, তার পেছনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রবাসীকল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খোন্দকার মোশাররফ হোসেনের ব্যক্তিগত উদ্যোগও কাজ দিয়েছে। মালয়েশিয়ার বন্ধ শ্রমবাজার খোলার পেছনেও প্রধানমন্ত্রীর টিম সম্ভাব্য সবকিছু করেছে। 'আদম ব্যাপারি' শব্দটি সর্বত্র চালু আছে এবং নেতিবাচকভাবেই এর ব্যবহার। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ ও মালয়েশিয়ায় যারা কর্মী প্রেরণ করে তাদের কাছ থেকে অন্যায়ভাবে যারা বেশি টাকা আদায় করে তাদের জন্য এ খেতাব। তবে এটাও ঠিক যে, বাংলাদেশের শ্রমবাজার সৃষ্টিতে তাদের অবদান অনেক। জনশক্তি রফতানির কাজে সরকারের অনেক ভালো দিক যেমন ছিল, তেমনি দুর্নীতি-অনিয়ম ছিল। সময়ের কাজ সময়ে না করতে পারাও সমস্যার সৃষ্টি করেছে। লাখ লাখ বাংলাদেশি কর্মী সময়মতো মেশিনে পাঠযোগ্য নতুন পাসপোর্ট পাবে কিনা, সেটা নিয়ে চরম উদ্বেগে রয়েছেন।
সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, ইরাক, মালয়েশিয়া প্রভৃতি দেশে হাজার হাজার বাংলাদেশি কাজ করলেও তাদের সুযোগ-সুবিধা দেখার জন্য ওই সব দেশের বাংলাদেশ দূতাবাসে পর্যাপ্ত সংখ্যক কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়নি। বেসরকারি 'আদম ব্যাপারিরা' এ কাজটি বরং দক্ষতার সঙ্গে করছে। সরকার আরেকটি কাজও এখন পর্যন্ত তেমন ভালোভাবে করতে পারেনি_ জনশক্তি রফতানির জন্য ম্যাপিং বা মানচিত্র তৈরি করা। কোন দেশে কী ধরনের লোক প্রয়োজন, পাঁচ বা দশ বছর পর এ চাহিদায় পরিবর্তন কী ঘটতে পারে, কোন দেশে কম লোক পাঠিয়েও বেশি অর্থ আয় হতে পারে, যে দেশে যে ধরনের কর্মী প্রয়োজন তাদের প্রশিক্ষণের জন্য দেশে কী আয়োজন করা যায়_ এসব কাজ একেবারে যে হয়নি, সেটা বলা যাবে না। তবে ত্রিশ বছরের বেশি যেহেতু আমরা জনশক্তি রফতানির সঙ্গে জড়িত, তাই আরও কিছু দেশে করে ফেলা উচিত ছিল। মধ্যপ্রাচ্যে আরবি ভাষা জানা লোকের বেতন বেশি, আমেরিকায় চাই ইংরেজি ভাষায় জ্ঞান। এক দেশে নার্সের চাহিদা, অন্য দেশে চিকিৎসকের। কোথাও-বা একেবারেই অদক্ষ শ্রমিকের জন্য হাহাকার। এটাও মনে রাখতে হবে_ এখন যে প্রায় পাঁচ কোটি ছাত্রছাত্রী স্কুলে পড়ছে, আগামী দশ বছরে তারা প্রায় সবাই মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করবে। তখন কিন্তু 'মূর্খ' কর্মী পাঠানোর সুযোগ থাকবে না। ওই সময়ের জন্য আমাদের প্রস্তুতি কী?
এ খাতের বিষয়টি দেখাশোনার জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় গঠিত হয়েছে। প্রবাসীদের রিত্রুক্রটের ব্যয় কমানোর জন্য চেষ্টা চলছে। মালয়েশিয়ায় বন্ধ শ্রমবাজার চালুর জন্য যখন সে দেশ থেকে সরকারি পর্যায়ে লোক পাঠানোর প্রস্তাব করা হলো, তখন আমাদের সরকার সেটা মেনে নিয়েছে। এটাও বলা হলো যে, দুই থেকে তিন লাখ টাকায় নয়, মাত্র ৪০ হাজার টাকায় কোনো তদবির ছাড়া যাওয়া যাবে মালয়েশিয়ায়। এটা স্বপ্নলোকের চাবি হাতে পাওয়ার মতো ঘটনা। দেশের ইউনিয়নে ইউনিয়নে অনলাইনে ২২-২৩ লাখ লোক নাম লেখাল। তাদের মধ্য থেকে অনলাইনেই লটারি করে কিছু লোককে নির্বাচিত করা হলো। কিন্তু দলে দলে লোক যাওয়ার ঘটনা ঘটছে না। কেন এভাবে হতাশ হতে হলো_ এ প্রশ্ন রেখেছিলাম সংশ্লিষ্ট এক পদস্থ সরকারি কর্মকর্তার কাছে। তিনি জানান, দুই দেশের সরকারি পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে লোক যাবে, এ প্রস্তাব মালয়েশিয়ার। বাংলাদেশ সেটা মেনে নিয়েছে। বাংলাদেশের বেসরকারি রিত্রুক্রটিং এজেন্সিগুলো মনে করেছে_ এ পদক্ষেপ তাদের ভাতে মারার জন্যই। কিন্তু মালয়েশিয়ায় যারা লোক নিয়োগ করে তারা মিডলম্যান-নির্ভর। ওই দেশে তারা এভাবে ভালো উপার্জন করে। সরকারি পর্যায়ে লোক পাঠানোর চুক্তি হলেও মালয়েশিয়ার নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের দেশের সরকারকে খুব একটা চাহিদাপত্র পাঠাচ্ছে না। মালয়েশিয়ায় লোকের যে কী বিপুল চাহিদা, সেটা বোঝা যায় সমুদ্রপথে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দলে দলে বাংলাদেশির যাওয়ার চেষ্টার মাধ্যমে। ইতিমধ্যে কয়েকটি দুর্ঘটনার খবর আমরা পেয়েছি। কিন্তু অনেক লোক 'নিরাপদে' গন্তব্যে পেঁৗছানোর পাকা খবর আসছে বলেই অন্যরা ঝুঁকি নিচ্ছে_ এ বিষয়টি কি উড়িয়ে দেওয়ার মতো? জীবন বিপন্ন করে ট্রলারে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে সে দেশে পেঁৗছে কাজ করছে_ এমন বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথা বলেছেন এমন দায়িত্বশীল ব্যক্তির সঙ্গেও আমি কথা বলেছি। ভবিষ্যতে হয়তো তাদের সে দেশে 'বৈধতার' প্রশ্ন আসবে। 'নতুন অবৈধরা' এমনকি সম্ভাবনাময় এ শ্রমবাজার ফের বিপন্ন করে ফেলতে পারে। প্রশ্ন আসে_ যারা '৪০ হাজার টাকায়' লোক যাক সেটা চায় না, তারাই কি সমুদ্রপথে লোক পাঠাচ্ছে?
আমাদের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় বলছে, সৌদি আরবে কর্মী যেতে পারবে ১৫-২০ হাজার টাকায়। বিমান ভাড়াসহ অন্যান্য ব্যয় বহন করবে নিয়োগকারী সৌদি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু প্রশ্ন_ মালয়েশিয়ার মতো সৌদি আরবেও সমস্যা সৃষ্টি হবে না তো? মিডলম্যানরা সে দেশেও সক্রিয় থাকতে পারে। ওই দেশে কম বেতনের অদক্ষ লোকের চাহিদা বিপুল। জনবহুল বাংলাদেশ এ চাহিদা মেটাতে পারবে। কিন্তু সরকারি পর্যায়ে লোক গেলেই কেবল ১৫-২০ হাজার টাকায় যাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হবে। এক মাসের আয়েই উঠে আসবে যাওয়ার ব্যয়। যদি এখানেও বাগড়া আসে? সে দেশে সমুদ্রপথে যাওয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু 'উদ্যমী' বাংলাদেশিরা যদি ভিন্ন পথ করে নেয়? একই সঙ্গে প্রশ্ন_ বৈধ পথে না গেলে যদি বাজার ফের হারাতে হয়?
সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রভৃতি দেশ থেকে প্রচুর অর্থ আমরা পাই। আবার যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত দেশে লোক তেমন যায় না, কিন্তু কেউ একবার গেলে কালক্রমে নাগরিকত্ব পেয়ে যায়। তদুপরি, তারা দেশে পাঠাতে পারে অনেক বেশি অর্থ। এ বাজারও আমাদের কাছে মহার্ঘ্য। একটি তথ্য দিচ্ছি_ ২০১৩-১৪ অর্থবছরে সৌদি আরব থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ৩১১ কোটি ডলার। পরের ছয় মাসে এসেছে আরও ১৬০ কোটি ডলার। সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে এসেছে ২৬৮ কোটি ডলার। পরের ছয় মাসে এসেছে আরও ১৩৯ কোটি ডলার। যুক্তরাষ্ট্রে ওই দুটি দেশের তুলনায় অনেক কম বাংলাদেশি বসবাস ও কাজ করছে। কিন্তু ২০১৩-১৪ অর্থবছরে সে দেশ থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ২৩২ কোটি ডলার। পরের ছয় মাসে আরও এসেছে ১১৭ কোটি ডলার। উন্নত বিশ্বের বাজারে দক্ষ ও শিক্ষিত লোকের চাহিদা পূরণে আমরা নিশ্চয়ই আরও কিছু করতে পারব।
আরও একটি বিষয় মনে রাখা চাই। বিদেশে লোক গেলে আমাদের দেশের শ্রমের বাজারে চাপ কমে, দেশীয় বেকাররা একটু হাঁফ ছাড়তে পারে। তদুপরি প্রবাসীরা অনেক অনেক টাকা পাঠায়, যার কারণে রিজার্ভ নিয়ে শঙ্কা নেই। একই সঙ্গে কিন্তু এটাও মনে রাখা চাই_ যে ৮০-৯০ লাখ বাংলাদেশি এখন দেশের বাইরে, তারা দেশের খায় না, পোশাক পরে না, যানবাহন ব্যবহার করে না। তারা দেশে থাকলে এসব চাহিদা পূরণে সরকারের ঘুম হারাম হয়ে যেত। বাংলাদেশ লোকের পদভারে 'বিপন্ন' মনে করেন কেউ কেউ। আরও কোটি খানেক না হোক, অন্তত ৫০ লাখ লোকের কাজের ব্যবস্থা কি বাইরে করা অসম্ভব? নিশ্চয়ই সরকারের ভেতরে অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন লোক রয়েছেন, যারা এ ব্যাপারে কী করতে হবে সেটা জানেন।
সাংবাদিক
ajoydg@gmail.com

No comments

Powered by Blogger.