জর্ডানের প্রতিশোধ শুরু

ইরাক ও সিরিয়ায় আগ্রাসন চালানো ইসলামিক স্টেটের (আইএস) ওপর হামলা শুরু করেছে জর্ডান। আইএসের হাতে বন্দি থাকা অবস্থায় জর্ডানের পাইলট লে. মোয়াথ আল-কাসাসবেহকে পুড়িয়ে হত্যার পর এর প্রতিশোধ নেয়ার ঘোষণা দিয়ে বৃহস্পতিবার আকাশ হামলা শুরু করেছে দেশটি। দু’দিন আগে কাসাসবেহকে পুড়িয়ে হত্যা করে আইএস। এই হত্যাকাণ্ডের ভিডিও অনলাইনে প্রকাশ করলে, জঙ্গিগোষ্ঠীটিকে ভয়াবহ জবাব দেয়ার ঘোষণা দেন জর্ডানের বাদশা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ।
কাসাসবেহর বাবা তার ছেলের হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিশোধ নেয়ার আহ্বান জানান সরকারের কাছে। কাসাসবেহর বাবা সাফি আল কাসাসবেহ সিএনএনকে জানিয়েছেন, বাদশা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ তাকে প্রতিশ্র“তি দিয়েছেন, তার ছেলের হত্যার প্রতিশোধ নেবেন। বাদশার পক্ষ থেকে তাকে জানান হয়েছে, বৃহস্পতিবার সিরিয়ার রাকায় আকাশ হামলা চালিয়েছে জর্ডান। এই হামলায় অংশ নিয়েছে দেশটির ৩০টি যুদ্ধবিমান। জর্ডানের সামরিক বাহিনী জানায়, তারা বৃহস্পতিবার সকালে আইএসের অবস্থান লক্ষ্য করে বেশ কয়েকবার বিমান হামলা চালায়। এ সময় তারা ‘এ সন্ত্রাসী গ্র“পের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং অস্ত্র ও গোলা বারুদের ঘাঁটি লক্ষ্য করেও বিমান হামলা চালায়।’ সিরিয়া ও ইরাকে আইএসের দখলে থাকা বিস্তীর্ণ এলাকার ঠিক কোন অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে তা জর্ডানের সামরিক বাহিনী বলতে না পারলেও বিমানগুলো অভিযান চালিয়ে নিরাপদে দেশে ফিরে এসেছে বলে তারা জানায়। মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, আমেরিকান এফ-১৬ ও এফ-২২ যুদ্ধবিমান জর্ডানের যুদ্ধবিমানকে নিরাপত্তা দেয়। জর্ডানের এসব বিমানকে আবার জ্বালানি নেয়া ও পর্যবেক্ষণ বিমানের সহায়তাও দেয়া হয়। ইরাকি শিশুরা এখন আইএসের অস্ত্র : একের পর এক ব্যক্তির গলা কাটা,
পাইলটকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা বা বিয়ে করতে না চাইলে মহিলাদের বিক্রি করার মতো কাজ করে ইতিমধ্যেই জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস-নৃশংসতার একাধিক নজিরের সাক্ষী বিশ্ব। এবার জাতিসংঘের একটি রিপোর্টের তথ্য কার্র্যত ছাপিয়ে গেল আগের সব নৃশংসতাকে। জাতিসংঘের শিশু অধিকার রক্ষা কমিটির চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট বলছে, ইরাক থেকে অপহরণ করা শিশুদের জীবন্ত কবর দিচ্ছে আইএস। জাতিসংঘ জানিয়েছে, আইএস প্রচুর শিশু ও কিশোরকে ইরাক থেকে অপহরণ করেছে। তাদের বেশির ভাগকেই জীবন্ত কবর দিয়ে দিচ্ছে তারা। এছাড়া মানসিক ভারসাম্যহীন কিশোরদের আত্মঘাতী হামলায় ব্যবহার করছে। জাতিসংঘের কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী, ‘ইরাকি শিশুদের ওপর আইএস জঙ্গিদের অত্যাচার ও হত্যার বিষয়ে আমরা খুবই চিন্তিত। কয়েক হাজার শিশুকে জীবন্ত কবর দিয়েছে। প্রতিবন্ধী শিশুদের মানববোমা হিসেবে ব্যবহার করছে।’ কিছু শিশুকে ক্রমাগত যৌন নিগ্রহ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে জাতিসংঘ। আইএস জঙ্গিদের কবলে থাকা শিশুদের উদ্ধারের জন্য ১৮ জনের একটি দল গঠন করা হয়েছে। দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।

No comments

Powered by Blogger.