ইরান-বাংলাদেশ সম্পর্ক ঐতিহাসিক -সেমিনারে বক্তারা

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের বিপ্লবের ৩৬তম বিজয় বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, ইরান বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। এ দুই দেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। দীর্ঘ দিন ধরে ফারসি ভাষা ও সাহিত্য এ দেশে শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। যার মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক আরো গভীর ও সুদৃঢ় হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের সেমিনার কক্ষে গতকাল দুপুরে ‘ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতি’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়। ইরান কালচারাল সেন্টার এ সেমিনারের আয়োজন করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকার ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ড. আব্বাস ভেইজি দেহনাভি। ইরানের আল-মুস্তাফা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশের প্রতিনিধি ড. আলী আলিরেজায়ির সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কৃষিবিদ ড. মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন। অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক ইরানের নতুন রাষ্ট্রদূতকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে আমরা তাকে আরো বেশি কাছে পাব। তিনি বলেন, দুই দেশের সময় এসেছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে আরো কাছাকাছি আসার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে ইরান সফর করে দুই দেশের সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে কাজ করছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হাফিজ ইয়ার্ড স্থাপন করা হয়েছে। ফার্সি ভাষার অনেক বই সেখানে আছে। বক্তারা বলেন, ইরানের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ‘ভিশন ২০২৫’ লক্ষ্যকে কেন্দ্র করে পরিচালিত হচ্ছে। ২০১২ সালের উইকিপিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী বিজ্ঞান ও প্রকৌশলে ইরানি প্রবন্ধের সংখ্যা ছিল ২০ হাজার ৬৫টি, যা বিশ্বে এসংক্রান্ত প্রবন্ধ প্রকাশের ক্ষেত্রে ইরানের অবস্থান ১৮তম। নিউকিয়ার টেকনোলজিতে ইরান বিশ্বে সপ্তম। খাদ্য উৎপাদনে ইরান বিশ্বে তৃতীয় এবং পেস্তা, জাফরান, খেজুর, ডালিম ও খোবানি উৎপাদনে প্রথম। এ ছাড়া নিউকিয়ার টেকনোলজি, বিশেষ করে নিউকিয়ার মেডিসিন এবং পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদনে ইরান প্রভূত অগ্রগতি সাধন করেছে বলে বক্তারা জানান।

No comments

Powered by Blogger.