তারা পেল পাওয়ার টিলার

(বলদ না থাকায় এর বদলে চাচা-ভাতিজা মিলে জমিতে হালচাষ করে আসছিল। হালচাষের সেই ছবি গতকাল প্রথম আলোতে ছাপা হয়। এরপর স্যোসাল ইসলামী ব্যাংক আজ বগুড়ায় চাচা-ভাতিজার হাতে একটি পাওয়ার টিলার তুলে দেয়। ছবি: সোয়েল রানা) বগুড়ার গাবতলী উপজেলার মেন্দিপুর গ্রামের কৃষক আবুল কাশেম ওরফে আজিজার রহমান এবং তাঁর দুই ভাতিজা স্কুলছাত্র আবদুল্লাহ ও আবদুল হামিদ একটি পাওয়ার টিলার পেয়েছে। বলদের বদলে তিন চাচা-ভাতিজার হালচাষের ছবি গতকাল সোমবার প্রথম আলোতে ছাপা হয়। এরপর স্যোসাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান মেজর (অব.) রেজাউল হক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুল রহমান তাদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে তিন চাচা-ভাতিজাকে ব্যাংকের বগুড়া শাখায় ডেকে নিয়ে তাদের হাতে একটি পাওয়ার টিলার তুলে দেন বগুড়া শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপক মো. এনামুল হক। পাওয়ার টিলার হস্তান্তরের সময় এনামুল হক বলেন, ‘সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই স্যোসাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড কৃষক আবুল কাশেমের পাশে দাঁড়িয়েছে।’
পাওয়ার টিলার পেয়ে খুশি কৃষক আবুল কাশেম।
এদিকে আবুল বারকাত পিস অ্যান্ড প্রোগ্রেস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবুল বারকাত স্কুলছাত্র দুই ভাই আবদুল্লাহ ও আবদুল হামিদ এবং তাদের কলেজপড়ুয়া বড় বোনের পড়াশোনার খরচ চালানোর জন্য ৫০ হাজার টাকার অর্থ সহায়তার কথা জানিয়েছেন। আবদুল্লাহ গাবতলী ফাজিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির এবং আবদুল হামিদ মেন্দিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র। তাদের বাবা আবুল ফজল গাজীপুর শহরে নিরাপত্তাকর্মীর কাজ করেন। গত রোববার বড় চাচা আবুল কাশেমের সঙ্গে বাড়ির পাশে বিলের জমিতে লাঙল টানছিল দুই শিশু।

No comments

Powered by Blogger.