বসতভিটা উদ্ধারের দাবিতে পরিবার নিয়ে অনশন

(বসতভিটা উদ্ধারের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পরিবার নিয়ে অনশন করছেন চুয়াডাঙ্গার ভূমিহীন আবদুর রাজ্জাক। গতকাল সোমবার থেকে স্ত্রী-সন্তান বাবাকে নিয়ে তিনি অনশন করছেন। পরিবারটির অভিযোগ, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মাসুদ-উজ্জামান তাঁদের জমি দখল করেছেন। ছবি: প্রথম আলো) বসতভিটা উদ্ধারের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনশন করছেন আবদুর রাজ্জাক নামের চুয়াডাঙ্গার এক ভূমিহীন ব্যক্তির পরিবার। চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মাসুদ-উজ্জামান তাঁদের জমি দখল করে ঘর তুলেছেন বলে পরিবারটির অভিযোগ। গতকাল সোমবার সকাল থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনশন করছেন পাঁচ সদস্যের পরিবারটির সদস্যরা। আজ মঙ্গলবার বেলা সোয়া একটার দিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাঁদের অনশন চলছে। বসতভিটা উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপের আকুতিও জানিয়েছেন তাঁরা। আবদুর রাজ্জাক, তাঁর স্ত্রী মাহফুজা বেগম, দুই সন্তান ও আবদুর রাজ্জাকের বৃদ্ধ বাবা মোক্তার আলী অনশন করছেন। আবদুর রাজ্জাক ও তাঁর স্ত্রী মাহফুজা বেগমের অভিযোগ, তাঁরা চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কুঠি পাইকপাড়া গ্রামে সরকারের কাছ থেকে আট শতক জমি বন্দোবস্ত নিয়ে ২০০৯ সাল থেকে বসবাস করছিলেন। কিন্তু ২০১২ সালের এপ্রিলে আওয়ামী লীগের নেতা মাসুদ-উজ্জামান তাঁদের ওই জমি দখল করে নেন। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের নেতা মাসুদ-উজ্জামান জানান, জায়গাটি আবদুর রাজ্জাকের নামে বন্দোবস্ত করা। তবে তাঁর দাবি, জায়গাটি তিনি আবদুর রাজ্জাকের মাধ্যমে বন্দোবস্ত করিয়ে নিয়েছিলেন। কথা ছিল দুজনে জায়গাটি ভাগ করে নেবেন। কিন্তু এখন তিনি আইনের মারপ্যাঁচে পড়ে গেছেন।
আবদুর রাজ্জাক জানান, ২০১২ সালে উপজেলা প্রশাসনের তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন ওই জমি থেকে মাসুদ-উজ্জামানের দখল সরিয়ে নেওয়ার আদেশ দেয়। কিন্তু তখন জমি দখলমুক্ত হয়নি। সর্বশেষ গত বছরের সেপ্টেম্বরে মাসুদ-উজ্জামান বিষয়টি নিয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রিট পিটিশন করেন। সে সময়ে মো. শাহিনুজ্জামান আলমডাঙ্গার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ছিলেন। শাহিনুজ্জামানের ভাষ্য, এ বছরের ৭ সেপ্টেম্বর জায়গাটি ভূমিহীন পরিবারের বলে তিনি প্রতিবেদন জমা দেন। এর পরও জায়গার দখল বুঝে পাননি আবদুর রাজ্জাক।
আবদুর রাজ্জাক ও তাঁর পরিবার আরও অভিযোগ করেছেন, মাসুদ-উজ্জামান বিভিন্ন সময়ে মামলা দিয়ে তাঁদের হয়রানি করেছেন। এর মধ্যে ঢাকার বংশাল থানায় করা একটি মামলায় আবদুর রাজ্জাককে গ্রেপ্তারও করা হয়। সেবার আলমডাঙ্গার ব্যবসায়ী খন্দকার বজলুল করিম তাঁর জামিনের ব্যবস্থা করেন। এরপর বজলুল করিমসহ আবদুর রাজ্জাকের নামে আলমডাঙ্গা থানায় অপহরণ, চাঁদাবাজি ও বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগে তিনটি মামলা দেওয়া হয়।

No comments

Powered by Blogger.