ধর্ষণের পর নিহত যুবতীর লাশ বেড়িবাঁধে

রাজধানীর বিমানবন্দর থানা এলাকার বেড়িবাঁধ থেকে গলায় ফাঁস লাগানো ও হাত বাঁধা অজ্ঞাত (২৫) এক যুবতীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ তার লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। গতকাল সকালে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। পুলিশের ধারণা, অজ্ঞাত ওই যুবতীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশটি বেড়িবাঁধ এলাকায় ফেলে যায়। পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, গতকাল সকালে বিমানবন্দর থানাধীন বেড়িবাঁধের স্লুইস গেট এলাকার পশ্চিম পাশের লেকের পাশে এক যুবতীর লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে। নিহত যুবতীর গলা দড়ি দিয়ে পেঁচানো ছিল। এছাড়া, তার দুই হাতও বাঁধা ছিল। পরনে ছিল খয়েরি-সাদা রঙের সালোয়ার-কামিজ। নিহত তরুণীর পিঠে ছিলে যাওয়ার জখম রয়েছে। বিমানবন্দর থানার এসআই মনিরুজ্জামান জানান, তাদের ধারণা, অন্য কোথাও তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। পরে লাশটি রাতের কোন এক সময় বেড়িবাঁধ এলাকায় ফেলে দিয়ে গেছে। নিহত যুবতীর পরিচয় উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। পরিচয় পেলে খুনিদের শনাক্ত করা সহজ হবে।
অস্বাভাবিক মৃত্যু: এদিকে রাজধানীতে এক কিশোরীসহ দু’জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তারা হলো শেফালী আক্তার (১৩) ও ইদ্রিস আলী (৪০)। ময়নাতদন্তের জন্য তাদের লাশও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, কিশোরী শেফালী আক্তার তার বাবা-মায়ের সঙ্গে বাসাবো মান্ডা এলাকার ইসমাইলের বাড়িতে ভাড়া থাকে।
রোববার সন্ধ্যায় পিতার সঙ্গে অভিমান করে সে বিষপান করে। পরে পরিবারের সদস্যরা রাতেই তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মধ্যরাতে তার মৃত্যু হয়। অপরদিকে যাত্রাবাড়ী এলাকার ৪১০ মীর হাজিরবাগে পরিবার নিয়ে থাকতো ইদ্রিস আলী। গতকাল দুপুরে নিজের বাসার ইলেকট্রিক বাতি ঠিক করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়ে যায়। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

No comments

Powered by Blogger.