‘অপরাজনীতির কারণে দেশে বিনিয়োগ আসছে না’ -সিপিডি’র সংলাপ

অপরাজনৈতিক সংস্কৃতির কারণে দেশে বিদেশী বিনিয়োগ আসছে না বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, এসব সমস্যার কারণে দেশের অর্থনীতি মন্থরগতিতে অগ্রসর হচ্ছে। এগুলোর সমাধান হলে অতি দ্রুত দেশের অর্থনীতি উন্নতির দিকে ধাবিত হবে। মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ও ঢাকাস্থ দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাসের উদ্যোগে ‘কোরিয়ার উন্নয়ন অভিজ্ঞতা: বাংলাদেশের জন্য শিক্ষা’ শীর্ষক সংলাপের আয়োজন করে সিপিডি। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। সিপিডি’র এডিশনাল রিসার্স ডিরেক্টর ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন ঢাকায় নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি ইয়ান ইয়াং, ইয়াংওয়ান করপোরেশনের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কিহাক সাং, সিউল ইউনিভার্সিটির স্কুল অব ল’-এর অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড. জায়েমিন লি ও কোরিয়া ইউনিভার্সিটির ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের প্রফেসর ড. মুনসাং কাং।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামের কোরিয়ান ইপিজেডে যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিল এর জন্য বর্তমান কু-রাজনৈতিক সংস্কৃতিই দায়ী। তিনি বলেন, প্রথমবার যখন আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে তখন কোরিয়ান ইপিজেডকে সরকার জমি বরাদ্দ দেয়। পরের বিএনপি সেখানে ষড়যন্ত্রের গন্ধ খুঁজে পায়। কিন্তু আমরা ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এনে ইপিজেড ও তাদের সঙ্গে বিএনপি সরকারের সম্পর্ক নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। ঠিক যে কাজটি বিএনপি ২০০২ সালে ক্ষমতায় এসে করেছিল সেটা আমরাও করি। এই অপরাজনৈতিক সংস্কৃতির জন্য একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে দুঃখ প্রকাশ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে জিএসপি’র আওতায় কোরিয়ায় বাংলাদেশের পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়ার কথা থাকলেও রুলস অব অরিজিনের (আরওও) কঠোরতার কারণে এর পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার করা যাচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে কোরিয়া সরকারকে আরওও’র শর্তসমূহ শিথিল করার আহ্বান জানান মন্ত্রী।

No comments

Powered by Blogger.