নীলফামারীতে পুড়ে গেছে দুই শতাধিক ঘর

(আগুনে পুড়ে গেছে ঘর, আসবাব সবই। সেখানেই আবার মাথা গোঁজার ঠাঁই গড়ে তোলার উপায় খুঁজছেন কয়েকজন নারী। ছবিটি আজ তোলা। ছবি: মীর মাহমুদুল হাসান, নীলফামারী) নীলফামারী জেলা সদরের সোনারায় ইউনিয়নের সাতারুপাড়া গ্রামে আগুনে ৮৫টি পরিবারের ২২৫টি ঘর এবং ঘরের মালামাল পুড়ে গেছে।  গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে এক কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় ইলিয়াছ আলীর রান্নাঘরের পাশে পল্লী বিদ্যুতের পিলারে ঝোলানো একটি বৈদ্যুতিক মিটারের বিস্ফোরণে আগুনের সূত্রপাত। আগুন দ্রুত আশপাশের ঘরগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ঘরে থাকা মালামাল পুড়ে যায়। অগ্নিদগ্ধ হয়ে একটি গরু, একটি ভেড়া, তিনটি ছাগল ও শতাধিক হাঁস-মুরগির মৃত্যু হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আজ মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে কথা হয় ষাটোর্ধ্ব হালিমা বেওয়ার সঙ্গে। এ সময় তিনি কাঁদছিলেন। তিনি জানান, ২০ বছর আগে তাঁর স্বামী মারা গেছেন। পাঁচটি মেয়ে নিয়ে অনেক কষ্টে সংসার চালান তিনি। তিনি বলেন, ‘কষ্ট করি চাইরটা বেটির বিয়া দিছি। একটা বেটির বিয়া দিবার বাদে ৩০ হাজার টাকা জোগার করছুনু, সেলাও (সেগুলো) পুড়ি গেইল, মোর এলা কী হইবে। ছাওয়াটাক ধরি মুই থাকিম কুনঠে।’
সোনারায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান শাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আগুন লাগার পর নীলফামারী ও সৈয়দপুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দুই ঘণ্টা চেষ্টায় আগুন নেভান। এতে এক কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবেত আলী প্রথম আলোকে বলেন, আজ বিকেলে ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারকে ৩০ কেজি করে চাল, দুটি করে কম্বল, একটি করে শাড়ি ও একটি করে লুঙ্গি দেওয়া হয়েছে। নীলফামারী ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা এনামুল হক জানান, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত।

No comments

Powered by Blogger.