ভারতে অন্য কোনো ধর্মের স্থান নেই

ভারতে অন্য কোনো ধর্মের স্থান হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। পরিষদের কার্যকরী সভাপতি প্রবীণ তোগাড়িয়া বলেছেন, আর অন্য কোনো ধর্ম নয়, গোটা ভারতজুড়ে থাকবে শুধু হিন্দুরাই। রোববার ভূপালে সংগঠনের সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে তোগাড়িয়া সদর্পে জানান, ভারতে হিন্দু জনসংখ্যা ৮২% থেকে বেড়ে একদিন ১০০% হবেই। ভারতকে শুধু হিন্দুদের বাসভূমি করে তুলতে তাদের সংগঠন সব রকম চেষ্টা করবে বলে ঘোষণা করেন তিনি। দেশজুড়ে এখন ভিএইচপি, সংঘ পরিবার, বজরঙ দলের ধর্মান্তরণ প্রক্রিয়া তীব্র সমালোচনার মুখে।
আমরা এখন ও আজ থেকে ১০০০ বছর পরেও হিন্দুদের রক্ষা করতে চাই। আমরা চাই না দেশের হিন্দুদের জনসংখ্যা ৮২% থেকে কমে ৪২% হয়ে যাক। এরকমটা হলে হিন্দুদের সম্পত্তি ও হিন্দু নারীরা সুরক্ষিত থাকবে না। ভূপালে বক্তব্য রাখার সময় একথা বলেন ভিএইচিপি সভাপতি। শনিবার কলকাতায় এসে যা যা বলেছিলেন রোববার ভূপালে প্রায় সেই কথারই পুনরাবৃত্তি শোনা গেল তোগাড়িয়ার গলায়। একজন হিন্দুরও ধর্মান্তরণ এবং একটি গরুকেও কাটার অর্থ এ দেশে হিন্দুদের কোনো সম্মান নেই। দাবি করলেন তিনি। তার মতে লভ জিহাদ হিন্দুদের বিরুদ্ধে একটা ষড়যন্ত্র। অস্পৃশ্যতা থেকে হিন্দুদের সরে থাকার পরামর্শ দিলেন তিনি। যখন আপনারা কুকুর-বিড়ালকে আপনার বেডরুম বা রান্নাঘরে ঢুকতে দেন তাহলে কিছু মানুষকে শুধু বর্ণের ভিত্তিতে বিচার করে দূরে সরিয়ে রাখেন কেন?...সব হিন্দুরা সমমর্যাদা পেলে, একদিন আবার পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম শক্তি হিসেবে উঠে আসবে এই ধর্ম।
ধর্মান্তকরণ বিতর্কে সংসদে বিবৃতি দিতে পারেন মোদি : ধর্মান্তকরণ বিতর্কে সংসদে বিবৃতি দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগ্রা, গুজরাটে ধর্মান্তকরণ এবং গোয়া, কেরলা ও কলকাতায় সংঘ নেতাদের বিতর্কিত মন্তব্যে কোণঠাসা কেন্দ্রীয় সরকার। এ নিয়ে সংসদের ভেতরে বাইরে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেছেন তারা। ধর্মান্তকরণ ইস্যুতে কোণঠাসা কেন্দ্রীয় সরকার। এ নিয়ে সংঘ পরিবারকে একযোগে আক্রমণ করেছে বিরোধীরা। গেরুয়া শিবিরের পাল্টা দাবি, ঘর বাপসি কখনোই জোর করে ধর্মান্তকরণ নয়। আরএসএসকে লাগাম পড়াতে পদত্যাগের হুমকি দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি!

No comments

Powered by Blogger.