এবার ব্যয় হবে তিন থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা

আগামী বছর বাংলাদেশ থেকে এক লাখ এক হাজার ৭৫৮ জন হজযাত্রী পবিত্র হজ পালনে সৌদি আরব যেতে পারবেন। এর জন্য আগ্রহী ব্যক্তিদের খরচ হবে ৩ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা। হজে যেতে টাকা জমা দিয়ে অনলাইনে নিবন্ধন করা যাবে ২১ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। নিবন্ধনের সময় অন্তত ১ লাখ ৫১ হাজার ৬৯০ টাকা জমা দিতে হবে। বাকি টাকা পরিশোধের জন্য ১০ জুন পর্যন্ত সময় পাওয়া যাবে। অনলাইনে নিবন্ধন করার পাশাপাশি এবার হজযাত্রীদের এমআরপি পাসপোর্ট অবশ্যই থাকতে হবে। এসব বিষয়সহ হজে যেতে আগ্রহীদের জন্য দুই ধরনের প্যাকেজ অনুমোদন করেছে সরকার।
সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা বলেন, প্রথম প্যাকেজের আওতায় হজে যেতে খরচ হবে ৩ লাখ ৫৪ হাজার ৭৪৫ টাকা। দ্বিতীয় প্যাকেজে খরচ পড়বে ২ লাখ ৯৬ হাজার ২০৬ টাকা। এর বাইরে কোরবানির খরচ আলাদা যুক্ত হবে। গত বছর প্রথম প্যাকেজের জন্য হজযাত্রীদের দিতে হয় ৩ লাখ ৫৪ হাজার ৩১৬ টাকা। আর দ্বিতীয় প্যাকেজে খরচ ছিল দুই লাখ ৯৫ হাজার ৭৭৬ টাকা। এবার ১০ হাজার হজযাত্রী যাবেন সরকারি ব্যবস্থাপনায়। বাকিরা বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও জানান, কোরবানির খরচ হিসেবে প্রত্যেককে বাড়তি ৫০০ সৌদি রিয়াল দিতে হবে। ব্যক্তিগত খরচের জন্য সঙ্গে নিতে পারবেন সর্বোচ্চ এক হাজার ডলার। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় কোনো হজযাত্রীর কাছ থেকে ২ লাখ ৯৬ হাজার ২০৬ টাকার কম নেয়া যাবে না।
বৈঠকে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (সংশোধন) আইন, ২০১৪-এর খসড়ার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ বিষয়ে জানান, মাঝারি ও অতি ক্ষুদ্র শিল্পকেও সহায়তা দেবে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক)। বর্তমানে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের মধ্যে বিসিকের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ (এসএমই) খাত এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এ খাতের সম্ভাবনা খুবই উজ্জ্বল। এখন মাঝারি শিল্পের পাশাপাশি মাইক্রো শিল্প ইন্ডাস্ট্রি বা অতি ক্ষুদ্র শিল্পকে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া প্রয়োজন। বিসিক আইন সংশোধনের প্রধান কারণও হচ্ছে এটি।
এছাড়াও জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমি (এনএপিডি) আইন, ২০১৪-এর খসড়ায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে জানান মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা। তিনি আরও বলেন, মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিটি কর্পোরেশন সংশোধন অধ্যাদেশ-২০১৪ খসড়া উত্থাপন করা হলেও তা আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যালোচনার জন্য ফেরত পাঠানো হয়েছে। ওই খসড়ায় ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসকদের মেয়াদ ছয় মাসের পরিবর্তে এক বছর করার প্রস্তাব ছিল।

No comments

Powered by Blogger.