ক্রাশার মিল বন্ধ হলে লক্ষাধিক শ্রমজীবী ও পেশাজীবী মানুষ বেকার হয়ে যাবে

সিলেট জেলা স্টোন ক্রাশার মিল মালিক ও পাথর ব্যবসায়ী ঐক্যপরিষদের মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেছেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের নীতিমালা অনুযায়ী স্টোন ক্রাশার মিল মালিকরা তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। মিলগুলোকে নির্ধারিত স্থানে গুচ্ছ আকারে স্থাপন করেছেন। মিল চলাকালীন যাতে ডাস্ট বাতাসে না ছড়ায় সেজন্য পানি স্প্রে করা হচ্ছে। বিদ্যুতের সাহায্যে চালিত মিল দিয়ে ধোঁয়া বের হচ্ছে না। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিদিন প্রায় ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা মিলগুলো চলছে। সভায় নিজস্ব ভূমির উপর মিল স্থাপনকারী প্রতিষ্ঠানকে তদন্ত সাপেক্ষে বৈধ মিল হিসেবে ঘোষণা করার দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি ছাড়পত্র নবায়ন, নতুন ছাড়পত্র প্রদান ও আবেদনকৃত স্টোন ক্রাশার লাইসেন্স প্রদানেরও দাবি জানানো হয়। গতকাল সোমবার নগরীর একটি হোটেলে জেলা স্টোন ক্রাশার মিল মালিক ও পাথর ব্যবসায়ী ঐক্যপরিষদের উদ্যোগে সিলেটের  ব্যবসায়ীদের নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তারা একথা বলেন। কোম্পানীগঞ্জ স্টোন ক্রাশার মালিক সমিতির সভাপতি ও ঐক্যপরিষদের আহ্বায়ক ডা. হাজী আবদুন নুরের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ধাপাগুল স্টোন ক্রাশার মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং ঐক্যপরিষদের সদস্য সচিব নুরুল আমিনের পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন ঐক্যপরিষদের ছয়জন যুগ্ম আহ্বায়ক বাবলু বখত, আলহাজ আফতাব আলী কালা মিয়া, ইলিয়াস উদ্দিন লিপু, আবদুল খালিক, সরোয়ার হোসেন দুদু ও ইকলাল আহমদ, পরিষদের সদস্য আবদুল জলিল, শাহাব উদ্দিন, শাহাদৎ আলী বাবুল, শাইস্তা মিয়া, মো. আজির মিয়া, হাজী রফিকুল ইসলাম, এখলাছুর রহমান, মো. কামাল উদ্দিন, মো. মাছুদুর রহমান, হিরালাল ঘোষ, মো. কবির হোসেন, মো. বিল্লাল আহমদ, আসাদুজ্জামান রাজা, হাজী নুরুল ইসলাম, আবদুল বাসিত চৌধুরী, সৈয়দ নাসির বখত মুন্সি, মাহবুবুল করিম, আবদুল কাইয়ুম প্রমুখ।
মতবিনমিয় সভায় কোম্পানীগঞ্জ স্টোন ক্রাশার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আফতাব আলী কালা মিয়া বলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পারুয়া কলাবাড়ি, ভোলাগঞ্জ, লাচুখাল, গুরুদেব এলাকায় অবস্থিত মিলগুলো গুচ্ছ আকারে আছে। আর এগুলো ২০০৬ সালে সংশোধিত ২০১৩ সালের নীতিমালার আলোকে স্থাপিত হয়েছে। আর তা পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি সাপেক্ষে ছাড়পত্র নিয়ে তাদের কার্যক্রম চলছে। ধোপাগুল স্টোন  ক্রাশার মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন বলেন, ধোপাগুল লালবাগ ও সালুটিকর এলাকায় যেসব স্টোন ক্রাশার মিল স্থাপিত হয়েছে তাদের মধ্যে অধিকাংশ মিলরে ছাড়পত্র রয়েছে। জাফলং স্টোন ক্রাশার মিল মালিক সমিতির সভাপতি বাবলু বখত জানান, জাফলং এলাকায় যা স্টোন ক্রাশার মিল রয়েছে তা ১/১১’র ক্রাশার মিল জোনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্থাপিত হয়েছে। তা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও ছাড়পত্রের আবেদন সাপেক্ষে। তাছাড়া অনেকেরই ছাড়পত্রের আবেদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.