যুক্তরাষ্ট্রে আবারও কৃষ্ণাঙ্গ হত্যা এবার অ্যারিজোনায়

ফার্গুসন, নিউইয়র্কে কৃষ্ণাঙ্গ আন্দোলন এখনও থামেনি। বৃহস্পতিবার সে আন্দোলনে আবার ঘি ঢালল অ্যারিজোনার আরেক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ। এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা অ্যারিজোনায় এক কৃষ্ণাঙ্গকে গুলি করে হত্যা করেছেন। তিনি লোকটির পকেটে ক্ষুদ্র আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে বলে মনে করেছিলেন। কিন্তু তার পকেটে ছিল বেদনানাশক একটি বড়ির শিশি। একই ধরনের ঘটনায় নিউইয়র্কে বিক্ষোভের মধ্যেই আবারও এ ঘটনা ঘটল। কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার এ কথা জানায়। বুধবার ফিনিক্সে ৩৪ বছর বয়সী সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তির পকেটে তল্লাশি চালাতে গেলে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তার বুকে দুটি গুলি করা হয়। লোকটির পকেটে ক্ষুুদ্র আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে বলে পুলিশ কর্মকর্তা সন্দেহ করেছিলেন। পরে রুমাইন ব্রিসবন নামের ওই ব্যক্তির পকেটে বেদনানাশক বড়ির শিশি পাওয়া যায়। ফিনিক্স পুলিশ বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়, একটি দোকানের বাইরে মাদক সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডের খবরে পুলিশ কর্মকর্তা তদন্ত করতে গেলে এ গুলির ঘটনা ঘটে। ব্রিসবনের সঙ্গে ধস্তাধস্তির সময় বাম হাত তার পকেটে ছিল। পুলিশ কর্মকর্তা তার হাত ধরে ফেলেন এবং তাকে বারবার হাতটি তার পকেটে রাখতে বলেন। বিবৃতিতে বলা হয়, সন্দেহভাজন ব্যক্তির পকেটে ঢুকানো হাত ধরে রাখার সময় পুলিশ কর্মকর্তা ক্ষুদ্র আগ্নেয়াস্ত্রের হাতল বলে মনে করেছিলেন।
ধস্তাধস্তির সময় ওই পুলিশ কর্মকর্তা সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তির হাত ধরে রাখতে পারছিলেন না। এমন অবস্থায় ব্রিসবনের পকেটে অস্ত্র রয়েছে এমন আশংকায় পুলিশ কর্মকর্তা তাকে দুই রাউন্ড গুলি করেন। প্যারামেডিক চিকিৎসকরা ব্রিসবনকে চিকিৎসা দিলেও তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যায়। ব্রিসবনের সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তার ধস্তাধস্তি হলেও তিনি আহত হননি। ওই পরিবারের প্রতিনিধিত্বকারী ফিনিক্সের আইনজীবী মার্সি ক্র্যাটার বলেন, ওই পুলিশ কর্মকর্তা এ ঘটনার যে বর্ণনা দিয়েছেন তা চ্যালেঞ্জ করার জন্য অসংখ্য প্রত্যক্ষদর্শী রয়েছেন।
তিনি অ্যারিজোনা রিপাবলিক সংবাদপত্রকে বলেন, এটি ছিল একটি বিবেকহীন মর্মান্তিক ঘটনা। তিনি ছিলেন নিরস্ত্র। তিনি কারো জন্য হুমকি ছিলেন না। আমরা এ ঘটনার নিরপেক্ষ বিচার চাই। জুলাইয়ে স্ট্যাটেন আইল্যান্ডে নিরস্ত্র এক কৃষ্ণাঙ্গকে শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনায় জড়িত এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুœদ্ধে অভিযোগ গঠনে বুধবার গ্র্যান্ড জুরি অস্বীকৃতি জানানোর পর নিউইয়র্কে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে মিসৌরির ফার্গুসনেও একই ঘটনা ঘটে। ফার্গুসনেও গ্র্যান্ড জুরি একই ধরনের একটি রায় দেন, যাতে নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ মাইকেল ব্রাউনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা ড্যারেন উইলসনের বিচার না করায় সিদ্ধান্ত আসে। গ্র্যান্ড জুরির ওই রায়ের পর তাৎক্ষণিকভাবে নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হয় ফার্গুসনেও।

No comments

Powered by Blogger.