নতুন ম্যান্ডেলার অভাব

ছোট্ট লুকার হাতে মাদিবার জীবনী।
মাদিবা ম্যান্ডেলার আদুরে নাম
বর্তমান প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা। সাবেক প্রেসিডেন্ট থাবো এমবেকি। তরুণ ‘বিপ্লবী’ রাজনীতিক জুলিয়াস মালেমা। বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা প্রয়াত নেলসন ম্যান্ডেলাকে বাদ দিলে দক্ষিণ আফ্রিকার রাজনীতি বলতে এই নামগুলোই চলে আসে। তবে ম্যান্ডেলার আদর্শ তাঁরা কতটা নিজেদের ভেতরে ধারণ করতে পেরেছেন? মহান নেতার বিদায়ের এক বছর পর সেই প্রশ্নই এখন দক্ষিণ আফ্রিকাবাসীর মনে। ম্যান্ডেলার একদিকে যেমন ছিল দয়ার শরীর, অন্যদিকে প্রয়োজন হলে কঠোর হতেও দ্বিধা করতেন না। ২৭ বছর জেল খেটে দেশের ইতিহাসে প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ম্যান্ডেলার কণ্ঠে ছিল সহাবস্থানের সুর। দেশে একটি রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধ আসন্ন মনে হলেও তিনি ধৈর্যের পরিচয় দেন, যতটা সম্ভব সবাইকে নিয়ে চলার চেষ্টা করেন। আবার প্রয়োজনের সময় কঠোর হয়েছেন। এমনকি বর্ণবাদ বিলোপে বড় ভূমিকা রেখে যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া ডি ক্লার্কের সঙ্গেও অনেক সময় মতান্তর হতো। ম্যান্ডেলার নৈতিক কর্তৃত্ব ছিল সমীহ জাগানো।
এর ওপর ভিত্তি করেই তিনি কঠোরতা ও কোমলতার এক সফল সংমিশ্রণ ঘটাতে পেরেছিলেন। এখানেই তাঁর সঙ্গে এখনকার তরুণ নেতাদের ফারাক। পর্যবেক্ষকেরা বলেন, ম্যান্ডেলার যে স্বকীয় বৈশিষ্ট্য ও নৈতিক কর্তৃত্ব ছিল, তা দেশের এখনকার নেতাদের বেশির ভাগের মধ্যেই নেই। ম্যান্ডেলার নিজ দল এএনসির যুব শাখা ইয়ুথ লিগের সাবেক নেতা জুলিয়াস মালেমাকে একটা সময় ম্যান্ডেলার সম্ভাব্য উত্তরসূরি ভাবা হতো। সেই মালেমা বিতর্কিত হয়ে পড়েছেন। এএনসি থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর নতুন দল গড়েছেন মালেমা। ম্যান্ডেলার পর প্রেসিডেন্ট হওয়া থাবো এমবেকিও বিতর্কের ঊর্ধ্বে ছিলেন না। এমবেকির পর প্রেসিডেন্ট হওয়া জ্যাকব জুমার বিরুদ্ধেও নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ধর্ষণ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ অপব্যবহারের মতো অভিযোগ।
সূত্র: নিউজটোয়েন্টিফোরডটকম

No comments

Powered by Blogger.