বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ২২তম বার্ষিকীতে প্রণব-মোদিকে অনুরোধ

ভারতে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ২২তম বার্ষিকী পালিত হচ্ছে আজ। উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় ১৯৯২ সালের ৬ই ডিসেম্বর মোগল সম্রাট বাবর শাহের আমলে নির্মিত বাবরি মসজিদটি ভেঙে ফেলা হয়। এদিকে প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে দুটি মুসলিম সংগঠন, বাবরি মসজিদ-রামের জন্মভূমি বিতর্ককে কেন্দ্র করে যতো মামলা রয়েছে, সেগুলো সুপ্রিম কোর্টে তোলা এবং মামলাগুলোর শুনানিও একটি সুনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্নের অনুরোধ জানিয়েছে। বিতর্কিত ওই স্থানেই বাবরি মসজিদ পুনঃনির্মাণের দাবি জানান তারা। সম্ভাব্য যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নিñিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। চেন্নাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ সব স্থানে মোতায়েন করা হয়েছে ১৮ হাজারের বেশি পুলিশ। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা পিটিআই। অল ইন্ডিয়া বাবরি মস্ক রিবিল্ডিং কমিটি (এআইবিএমআরসি) ও অল ইন্ডিয়া মুসলিম ইউনিটি ফ্রন্টের (এআইএমইউএফ) সদস্যরা আজ নয়াদিল্লির জন্তর মন্তরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। তারা বলছেন, সর্বোচ্চ আদালতের যে কোন রায় মুসলমান সম্প্রদায় মেনে নেবে। বিতর্কিত ওই স্থানেই বাবরি মসজিদ পুনঃনির্মাণের দাবি জানান তারা এবং দাবি সংক্রান্ত প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সম্বোধন করে লেখা একটি স্মারকলিপি তাদের কার্যালয়ে হস্তান্তর করেন। বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেয়া মুসলমানরা বলছেন, ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংস করে ফেলার মাধ্যমে কয়েকটি সংগঠন সংবিধান, বিচার ব্যবস্থা ও আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভারতের ধর্ম-নিরপেক্ষতার বৈশিষ্ট্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। মসজিদটি পুনঃনির্মাণের মাধ্যমেই তা ফিরে পাওয়া সম্ভব। শুধু চেন্নাইয়ের বিভিন্ন উপাসনালয়, আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরসমূহ, রেলওয়ে স্টেশন, বাস টার্মিনাল, হোটেল, মার্কেট ও বাণিজ্যিক এলাকাসমূহে  ১৮ হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। অতিরিক্ত ৪ কমিশনার, ৪ জয়েন্ট কমিশনার ও ১৯ ডেপুটি কমিশনার এই বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্যের তত্ত্বাবধানে থাকবেন। একই সঙ্গে থাকবে বোমা শনাক্তকারী ডগ স্কোয়াড। সশস্ত্র নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের বহু স্থানে মোতায়েন করা হয়েছে। বাবরি মসজিদের স্থলে হিন্দুদের রাম মন্দির নির্মাণের দাবিকে কেন্দ্র করে ১৮৫৩ সালে শুরু হওয়া বিরোধ চরম আকার ধারণ করে এবং ১৯৯২ সালে মসজিদটি ভেঙে ফেলা হয়। হিন্দু ধর্ম বিশ্বাসীদের মতে, ওই স্থানেই দেবতা রামচন্দ্রের জন্ম হয়েছিল। বাবরি মসজিদ ধ্বংস করার পর মুসলমানদের মধ্যে চরম অসন্তোষ ও চাপা ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

No comments

Powered by Blogger.