তৃতীয় দিনেও উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র

(কৃষ্ণাঙ্গ এরিক গার্নারের মৃত্যুতে নেওয়া গ্র্যান্ড জুরির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে প্ল্যাকার্ড-ফেস্টুনসহ মুখোশ পরে বিক্ষোভ। ছবিটি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে শুক্রবার তোলা হয়। ছবি: এএফপি) কৃষ্ণাঙ্গ এরিক গার্নারের মৃত্যুর ঘটনায় গ্র্যান্ড জুরির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ চলাকালে আরেক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের ফিনিক্স শহরে শ্বেতাঙ্গ পুলিশের গুলিতে আরেক নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি নিহত হন। এসব ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল শুক্রবার দেশটির বড় শহরগুলোতে বিক্ষোভ হয়েছে। এ নিয়ে তৃতীয় দিনে গড়াল প্রতিবাদ-বিক্ষোভ।  আজ শনিবার বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে জানানো হয়, গতকাল রাতে বৃষ্টির মধ্যে নিউইয়র্কে শত শত লোক বিক্ষোভ করেন। এ ছাড়া মায়ামি, শিকাগো, বোস্টন, নিউ অরলিন্স ও ওয়াশিংটন ডিসিতে একই ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে।
সর্বশেষ ফিনিক্স শহরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন কৃষ্ণাঙ্গ রুমেইন ব্রিসবন (৩৪)। পুলিশের দাবি, শহরের একটি বিপণিবিতানের সামনে মাদক নিয়ে অভিযোগের তদন্ত করতে যান একজন শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি ব্রিসবেনকে তল্লাশি করতে গেলে তিনি নিজের পকেটে বাঁ হাত ঢোকান। তখন ব্রিসবেন অস্ত্র বের করবেন, এ সন্দেহে ওই পুলিশ তাঁর হাত চেপে ধরেন। তাঁদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। একপর্যায়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তা ব্রিসবেনের বুক লক্ষ্য করে দুটি গুলি করেন।
গত জুলাইয়ে নিউইয়র্কে গ্রেপ্তার করার সময় ‘চোকহোল্ড’ প্রক্রিয়ায় শ্বাসরুদ্ধ করায় দম বন্ধ হয়ে মারা যান গার্নার। ঘটনা তদন্তে গঠিত গ্র্যান্ড জুরি গত বুধবার অভিযুক্ত শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা ড্যানিয়েল প্যান্টালিওকে অভিযুক্ত না করার সিদ্ধান্ত দেন।
গত ৯ আগস্ট মিজৌরি অঙ্গরাজ্যের নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ মাইকেল ব্রাউনকে গুলি করে হত্যা করেন শ্বেতাঙ্গ এক পুলিশ কর্মকর্তা। কিন্তু ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ না আনার সিদ্ধান্ত নেন গ্র্যান্ড জুরি। এমন সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।

No comments

Powered by Blogger.