এক মাস পেছাল ৩৫তম বিসিএসের নির্বাচনী পরীক্ষা

এক মাস পিছিয়েছে ৩৫তম বিসিএসের নির্বাচনী (প্রিলিমিনারি) পরীক্ষা। নতুন তারিখ অনুযায়ী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৬ মার্চ। ওইদিন সকাল সাড়ে ৯টায় দেশের মোট ৭টি বিভাগীয় শহরে একযোগে ওই পরীক্ষা শুরু হবে। প্রথমবারের মতো এবার নির্বাচনী পরীক্ষা হবে ২ ঘণ্টায় ২০০ নম্বরের মধ্যে। সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কমিশনের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আইম নেছারউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, বিসিএসের প্রিলিমিনারি টেস্ট পরীক্ষা অনিবার্য কারণবশত ৬ ফেব্র“য়ারির পরিবর্তে ৬ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও রংপুর কেন্দ্রে। পরীক্ষার সময়সূচি, হল ও আসন ব্যবস্থা এবং পরীক্ষা সংক্রান্ত বিস্তারিত নির্দেশনাবলী সংবাদ মাধ্যম ও কমিশনের সাইট (www.bpsc.gov.bd) এই ঠিকানায় পাওয়া যাবে। এবার বিসিএসের ইতিহাসে সর্বাধিক রেকর্ডসংখ্যক ২ লাখ ৪৪ হাজার ১০৭ জন প্রার্থী আবেদন করেছেন। এর আগে ৩৪তম বিসিএসের এ রেকর্ড ছিল। প্রিলিমিনারি পরীক্ষার জন্য ওই বিসিএসে মোট প্রার্থী ছিলেন ২ লাখ ২১ হাজার ৫৭৫ জন। সে হিসাবে এবার বিসিএসে ২২ হাজার ৫৩২ জন বেশি আবেদন করেছেন।
৩০ সেপ্টেম্বর এক মাসের সময় দিয়ে ৩৫তম বিসিএসে আবেদন নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। অনলাইনে ৩০ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবেদন নেয়া হয়। তবে এরপরও পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা মোবাইল এসএমসের মাধ্যমে পরীক্ষার ফি জমা নেয়া হয়েছে। এর আগে পিএসসি জানিয়েছে, আবেদনকারীদের মধ্যে ঢাকা কেন্দ্রে এক লাখ ৫৫ হাজার ২৪৪ জন, রাজশাহী কেন্দ্রে ২১ হাজার ৮৭৩ জন, চট্টগ্রামে ২০ হাজার ৪৬৯ জন, খুলনা কেন্দ্রে ১৪ হাজার ৭৮ জন, বরিশালে পাঁচ হাজার ৭২৯ জন, সিলেটে নয় হাজার ৮৫৮ জন এবং রংপুর কেন্দ্রের অধীনে ১৬ হাজার ৮৫৬ জন প্রার্থী পরীক্ষা দেবেন।
২৩ সেপ্টেম্বর এ বিসিএসের সার্কুলার জারি করা হয়েছিল। সে অনুযায়ী, মোট ১ হাজার ৮০৩টি পদে এবার নিয়োগ করার কথা রয়েছে। এর মধ্যে সাধারণ ক্যাডারের পদ ৪৫৫, প্রফেশনাল বা টেকনিক্যাল ক্যাডারের মোট পদ ৪৮৪, সাধারণ শিক্ষা (সরকারি কলেজের প্রভাষক) ৮২৯ ও সরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজের জন্য ৩৫টি পদ রয়েছে। বিজ্ঞপ্তি মতে, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি এ বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেয়ার কথা। প্রথমবারের মতো সংশোধিত নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী নেয়া হবে। সে অনুযায়ী প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হবে ২০০ নম্বরে। আগে হতো ১০০ নম্বরে। প্রার্থী প্রতিটি শুদ্ধ উত্তরের জন্য ১ নম্বর পাবেন, তবে প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.৫০ নম্বর কাটা হবে।

No comments

Powered by Blogger.