‘আমাদের অনেক সফলতা রয়েছে’ -দুদক কমিশনার সাহাবুদ্দিন চুপ্পু

দুদক কমিশনার সাহাবুদ্দিন চুপ্পু দুদক দায়মুক্ত কমিশনে পরিণত হয়েছে এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন দায়মুক্তি শব্দটি আমাদের অভিধানে নেই। বিদায়ী বছরে আমাদের অনেক সফলতা রয়েছে। দুদকের শতকরা ৪৭ভাগ মামলায় সাজা হয়েছে। যা সংস্থার ইতিহাসে বিরল। যেখানে মামলায় পুলিশের  সাজা হয় শতকরা ১৭ বা ১৮ভাগ। তিনি বলেন, অবৈধ সম্পদের অভিযোগে আমরা বেশ কয়েকজন সাবেক মন্ত্রী ও এমপির সম্পদ অনুসন্ধান শুরু করেছিলাম বছরের শুরুর দিকে। এর মধ্যে বেশকিছু মামলা নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। কয়েকটি মামলায় অব্যাহতি হয়েছে, কিছু মামলা হয়েছে। বিদায়ী বছরের শেষদিকে রাজশাহীর এমপি এনামুল হকের অব্যাহতি প্রসঙ্গে দুদক কমিশনার বলেন, তার অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়টি অনুসন্ধানাধীন ছিল। অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা তার ব্যক্তিগত অবৈধ সম্পদ অর্জনের কোন দালিলিক তথ্য-প্রমাণ পাননি। তবে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা তার ব্যক্তিগত সম্পত্তি ও কোম্পানি এনা প্রপার্টিজ এক করে ফেলেছেন। এক করে দেখার বিষয়টি কমিশনের নজরে এসেছে। এতে বিভ্রান্তি দেখা দেয়। বিষয়টি আমরা পুনঃপর্যালোচনা করেছি। তবে এমপি এনামুল হকের মালিকানাধীন এনা প্রপার্টিজের বিষয় কিছু কিছু অডিট আপত্তি আছে। এটি কমিশনের দেখার বিষয় নয়। এসব দেখার বিষয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ( এনবিআর) এর। কমিশন তাই এ বিষয়টি এনবিআরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার কোম্পানি  কোন ট্যাকস ফাঁকি দিয়েছে কিনা। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ফাইনান্সিয়াল ক্রাইম দেখার জন্য আমাদের একটি দক্ষ টিম রয়েছে। তারা কাজ করছে। সোনালী ব্যাংকের ৭ হাজার কোটি টাকা লুটপাট নিয়েও কাজ চলছে। এছাড়া মালয়েশিয়ায় পাচার হওয়া টাকা বা সেকেন্ড হোম নিয়েও কাজ চলছে। আমরা হলমার্ক ডেসটিনির কোন রাঘববোয়ালদের ছাড় দিইনি। যাদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ পেয়েছি প্রত্যেকের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হয়েছে। তারা মাসের পর মাস কারাভোগ করছে। অনেকের যাবজ্জীবন, আবার অনেকের ১০/১২ বছর সাজা হয়েছে। দুদক কমিশনার দাবি করেন, আমরা সকল প্রভাব ও চাপের  ঊর্ধ্বে ওঠে  কাজ করছি।  এক প্রশ্নে তিনি বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে দুদক কাজ করছে যারা এমন অভিযোগ করছেন তারা না  জেনেই বলছেন। দুদক কমিশনার বলেন কে সরকারি দল কে বিরোধী দল তা আমাদের কাছে মুখ্য নয়। আমরা যে দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির সংশ্লিষ্টতা পাবো তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ২৮শে  ডিসেম্বর থেকে গণশুনানির কাজ শুরু হয়েছে। প্রথম  পর্যায়ে পাইলট প্রকল্প হিসাবে ৫ জেলায় কাজ করবো। পর্যায়ক্রমে ৬৪ জেলায় এ কাজ চলবে।

No comments

Powered by Blogger.