ব্রাজিলের জয়রথ চলছেই

সর্বশেষ প্রীতি ম্যাচে জাপানের বিপক্ষে দেশের হয়ে একাই চার গোল করেন নেইমার। আর এবার করলেন জোড়া গোল। এতে বুধবার প্রীতি ম্যাচে তুরস্ককে ৪-০ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল। আর এতে বিশ্বকাপের পর অপ্রতিরোধ্যই থাকলো পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। এ বছর ব্রাজিল বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত হয় স্বাগতিকরা। বিশ্বকাপের পর দলের কোচের দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেয়া হয় লুইস ফেলিপে স্কলারিকে। জুলাইয়ে দ্বিতীয় দফায় দায়িত্ব দেয়া হয় কার্লোস দুঙ্গাকে। আর দায়িত্ব নিয়েই এখন পর্যন্ত শতভাগ সফল তিনি। পাঁচ ম্যাচের প্রতিটিই জিতেছে ব্রাজিল। তাদের জালে এখনও বল জড়াতে পারেনি কেউ। উল্টোদিকে ব্রাজিল পাঁচ ম্যাচে দিয়েছে ১২ গোল। এর আগে তারা কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, আর্জেন্টিনা ও জাপানকে হারিয়েছে। আর বুধবার তুরস্ককে হারাতে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলে সফরকারী ব্রাজিল। ইস্তাম্বুল স্টেডিয়ামে ২০তম মিনিটে ব্রাজিলকে এগিয়ে দেন বার্সেলোনা স্ট্রাইকার নেইমার। ম্যানচেস্টার সিটির মিডফিল্ডার ফারনানদিনহোর ৪০ গজ দূর থেকে দেয়া একটি পাস দারুণভাবে পায়ে নিয়ে তুরস্কের গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি। এর ৪ মিনিট বাদে সেমিহ কায়ার আত্মঘাতী গোলে আরও এগিয়ে যায় ব্রাজিল। এ সময় ব্রাজিলের শাখতার দোনেতস্কর স্ট্রাইকার লুইস আদ্রিয়ানোর একটি হেড রুখতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে ফেলেন তিনি। আর প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার এক মিনিট আগে দারুণ বুদ্ধিমত্তায় ব্রাজিলের ব্যবধান ৩-০ করেন চেলসির তারকা উইলিয়ান। দ্বিতীয়ার্ধে ৬০তম মিনিটে নেইমার দ্বিতীয় গোল করে ব্রাজিলের বড় জয় নিশ্চিত করেন। এই নিয়ে ব্রাজিলের হয়ে সর্বশেষ দুই ম্যাচে ৬ গোল করলেন নেইমার। আর সব মিলিয়ে দেশের হয়ে ৫৯তম ম্যাচে ৪২তম গোল করলেন তিনি। ব্রাজিলের সর্বকালের সর্বাধিক গোলকারীদের তালিকায় চতুর্থ স্থানে থাকা জেকোকে ছুঁতে নেইমারের প্রয়োজন আর ৬ গোল। ব্রাজিলের সাবেক স্ট্রাইকার জেকো দেশের হয়ে ৭১ ম্যাচের করেছেন ৪৮ গোল। আগামী মঙ্গলবার অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে আরেকটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল। ভিয়েনায় হবে ম্যাচটি।

‘ক্যারিয়ারের সেরা ফর্মে আছি’
তুরস্কের বিপক্ষে জোড়া গোল করা নেইমার ক্যারিয়ারের সেরা ফর্মে আছে বলে জানালেন। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘মনে হয় ক্যারিয়ারে সেরা সময়ে আছি। তবে এখনই থামতে চাই না। আমি ক্রমান্বয়ে আরও উন্নতি করতে চাই।’ এদিন দ্বিতীয় গোল করার পর নেইমারের নাম ধরে তুরস্কের সমর্থকরাই চিৎকার করতে থাকে। আর এতে অভিভূত নেইমার। ব্রাজিলের এ তারকা তুরস্কের সমর্থকদের প্রশংসা করে বলেন, ‘আমি সত্যিই অভিভূত। সম্পূর্ণ ভিন্ন দেশ, ভিন্ন পরিবেশ ও ভিন্ন স্টেডিয়ামে সমর্থকদের মুখে আমার নাম শুনে অনেক ভাল লাগছে। আমার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। এমন অভ্যর্থনা আমি কখনও ভাবিনি।

No comments

Powered by Blogger.