ফরিদপুরে র‌্যাব পরিচয়ে তুলে নেয়া দুই ভাইয়ের খোঁজ মেলেনি

ফরিদপুরে ভাঙ্গা উপজেলার তারাইল গ্রামের আমজাদ মাতুব্বরের কলেজ পড়ুয়া ২ ছেলে জুয়েল মাতুব্বর ও সোহেল মাতুব্বরকে গত শনিবার রাত ২টার সময়ে র‌্যাব পরিচয়ে হাত কড়া পড়িয়ে আবারও গুম করা হয়েছে। গত ৪ দিন ধরে স্বজনরা বিভিন্ন র‌্যাব অফিসে খোঁজ নিয়ে সন্ধান পায়নি। ফলে পরিবারে চলছে শোকের মাতম। ওই এলাকা থেকে ২ বছর আগে ৬ যুবককে র‌্যাব পরিচয়ে গুম করা হয়েছিল। আজও তাদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। জুয়েল ও সোহেল গুম হওয়ার ঘটনায় রোববার রাতে ভাঙ্গা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। জানা গেছে, শনিবার রাত ২টায় র‌্যাবের পোশাকধারী ১৫-২০ জনের একটি দল ৩টি মাইক্রোবাস থেকে নেমে আমজাদ মাতুব্বরের বাড়িটি ঘিরে ফেলে। তারা তাদের র‌্যাব বলে পরিচয় দিয়ে দরজা খুলতে বলে। বাড়ির লোকজন ভয়ে দরজা খুলে দিলে জুয়েল ও সোহেলকে হাতকড়া লাগিয়ে গাড়িতে তুলে নিয়ে চলে যায়।গুম হওয়া দুই ভাইয়ের ভাবী অঞ্জনা বেগম বলেন, আমার স্বামীসহ তারা ৫ ভাই। বড়ভাই ও মেজভাই বাহরাইন ও জার্মানিতে থাকেন। সোহেলের কয়েকদিনের মধ্যে বাহরাইন যাওয়ার কথা ছিল। জুয়েল ইলিয়াছ আহম্মেদ ডিগ্রি কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্র। র‌্যাব কেন আমার ২ দেবরকে ধরে নিয়ে গেল তা বুঝতে পারছি না।জুয়েলের মামা খোকন জানায়, র‌্যাব রাতে আমার বাড়ি গিয়ে সবাইকে আটক করে জুয়েলের বাড়ি নিয়ে আসে। পরে আমাদের সবাইকে ছেড়ে দিয়ে শুধু ওদের ভাইকে নিয়ে যায়। পুলিয়া বাজারের পাহারাদার দুলাল জানায়, ৩টি গাড়ি এসে কালো কাপড় পরা ১৫-২০ জন লোক আমাদের কাছে বলে তারাইল গ্রামে জুয়েলের বাড়ি কোথায় আমরা সেখানে যাব। এই বলে তারা সেখানে যায় এবং পড়ে শুনতে পাই তাদেরকে র‌্যাব ধরে নিয়ে গেছে । নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসী জানায়, এই এলাকায় যুবকদের কেউ কেউ মোবাইল ফোনে প্রতারণার সঙ্গে জড়িত। শুনেছি একটি চক্র কয়েকদিন আগে পাবনা জেলার জনৈক র‌্যাব কর্মকর্তার স্ত্রীর কাছ থেকে মোবাইলে প্রতারণার মাধ্যমে ৬২ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তাদের ধরে নিয়ে গেছে ।

No comments

Powered by Blogger.